তৃণমূলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী! ফের বাবুলকে অনুপম খোঁচা

Babul

এনএফবি ব্যুরো, নিউজ ডেস্কঃ

সামাজিক মাধ্যমে নাম না করে বাবুল সুপ্রিয়কে তৃণমূলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বলে কটাক্ষ করেন প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। জল্পনা ছিল কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু সন্ধায় ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম না থাকায় সে জল্পনায় জল পড়ে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সহকর্মীকে নিয়ে এই পোস্ট করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

শনিবার সামাজিক মাধ্যমে অনুপম হাজরা লেখেন, “প্লেইং ১১-এ খেলতে চাওয়া ছেলেটা আজও মাঠের বাইরে… ভাবলাম রাজ্যসভায় পাঠাবে…হল না!!! …ভাবলাম উপনির্বাচনে টিকিট দিয়ে মন্ত্রী বানাবে… টিকিট দিল না!!! …ভাবলাম কর্পোরেশন ইলেকশনে টিকিট দিয়ে মেয়র বানাবে…সেটা করল না!!! …তার মানে নিশ্চয় এক্কেবারে তৃণমূলের প্রধানমন্ত্রী ক্যান্ডিডেট।“

গত ১৮ সেপ্টেম্বর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে পদ্ম ছেড়ে জোড়া-ফুল শিবিরে যোগদান করেন বাবুল সুপ্রিয়। পরে আসানসোলের সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেন। কেন বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হল তাঁর? এই প্রশ্নের উত্তরে বাবুল সেই সময় বলেছিলেন যে, “বিজেপিতে খেলার সুযোগ ছিল না। আমি প্লেইং ১১-এ খেলতে চাই, বাংলার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।“ বিজেপির মধ্যে যোগ্যতাকে প্রাধান্য না দেওয়া ও বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ।

আপাতত গোয়ায় তৃণমূলের সংগঠনিক কাজে মনোনিবেশ করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। বাংলার শাসক দলে তাঁর যোগদানের পরেই এ রাজ্যের একটি আসনে রাজ্যসভার ভোট ঘোষণা হয়। জল্পনা ছিল যে বিজেপি ছেড়ে আসা বাবুলকে ওই আসনে প্রার্থী করতে পারে ঘাস-ফুল শিবির। কিন্তু, তা হয়নি। সুস্মিতা দেবকে রাজ্যসভায় পাঠায় তৃণমূল। পরে আরও একটি রাজ্যসভার আসন ফাঁকা হলে সংসদরে উচ্চকক্ষে পাঠানো হয় গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালেইরোকে। এরপরই দলের প্রাক্তন নেতাকে নিশানা করেছিলে অনুপম। তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছিলেন যে, “গোয়ার ছেলেটাকে রাজ্যসভায় পাঠাল, অথচ প্লেয়িং ১১-য় খেলতে চাওয়া বাংলার ছেলেটাকে মাঠের বাইরে বসিয়ে রাখল।“