এনএফবি,মুর্শিদাবাদঃ
বহরমপুরে কলেজ ছাত্রী খুনে নয়া মোড়। উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুতপার সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক স্থাপনে ১৮ এপ্রিল থেকে বহরমপুরের এক মেসে ভাড়া নিয়ে থাকত ছাত্রী খুনে মূল অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী। ২ তারিখ ঘটনার পর বহরমপুর রুটিমহল এলাকার ওই মেস বাড়িতে ফিরে যায় সুশান্ত। পোশাক পরিবর্তন করে মেসের ঘরে তালা দিয়ে চাবি মালিকের হাতে ধরিয়ে দিয়েই পালিয়ে যায়।
সুতপার উপর নজর রাখতে ১৮ এপ্রিল থেকে বহরমপুরে ডেরা বেঁধেছিল সুশান্ত। গোরাবাজার রুটিমহল এলাকায় একটি মেসে তিন মাসের জন্য ভাড়া চায় মূল অভিযুক্ত। মেস মালিক রাজি না হওয়ায় আধার কার্ডের জেরস্ক দিয়ে ২ মে পর্যন্ত থাকার বন্দোবস্ত করে সে। মেস মালিককে সুশান্ত জানায় বহরমপুরে কোচিং নিচ্ছে, তাই সে ঘর খুঁজছে। যদিও ওই ঘরে আরও তিনজন থাকত। ২ তারিখ পর্যন্ত ভাড়া নেওয়ায় সেদিনই কিছু ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল তার বলেই অনুমান করা হচ্ছে। সুতপার মেস ও সুশান্তের মেসের দূরত্ব মাত্র ৭০০ মিটার। সেখান থেকেই সুতপার গতিবিধির উপর নজরদারি চালাত সুশান্ত। এমনকী খুনের পর র্নিলিপ্ত ভাবেই মেসে ফিরে আসে সে। পোশাক এবং জুতো বদল করেই তালা দিয়ে বেরিয়ে যায়। মেস মালিককে বলে যায়, ” বাড়ি যাচ্ছি। আমার স্যার ঘর ঠিক করে দিয়েছে।” যদিও সেইসময় ওই ঘরের বাকিরা ছিলনা। তবে কী খুনের পরিকল্পনা নিয়েই বহরমপুরে পা দিয়েছিল সুশান্ত? নাকী কাছে থেকে সুতপাকে ফের সম্পর্কের জালে জড়াতে চেয়েছিল? আর তারজন্যই মেস ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মেস মালিক সুচিত্রা সাহা জানিয়েছেন, তাঁরা খুবই আতঙ্কে রয়েছেন। এরপর আর মেস ভাড়া দেবেন না।