এনএফবি,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
মঙ্গলবার বিজেপির “চোর ধরো,জেলে ভরো” নবান্ন অভিযানে পুলিশি বাধার অভিযোগ উঠেছে৷ আর এবার তৃণমূল নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে৷ ঘটনায় কয়েক জন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের আটক করেছে পুলিশ ৷এইদিন ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে রাধামনি টোলপ্লাজার কাছে৷
জানা গিয়েছে, গুরুতর জখম অবস্থায় তৃণমূলের প্রধান তারক জানাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর কার্যত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। জেলা পুলিশের আধিকারিকের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থককে আটক করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা রাধামনি টোলপ্লাজা কাছে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে বিজেপি নবান্ন অভিযান জন্য রওনা দিয়েছিলেন তমলুকে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা৷ সেই সময় তমলুকে রাধামনি টোলপ্লাজার কাছে তমলুক রঘুনাথপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান তারক জানা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়ার প্রতিবাদ জানায়।তখনই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা প্রধান তারক জানাকে বেধড়ক মারধর করে। শুধু তাই নয় পরনে জামা কাপড় ছিঁড়ে দেয়। গুরুতর জখম হন তৃণমূল প্রধান৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তমলুক থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থককে আটক করে পুলিশ। তখনই আরও ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।পাশাপাশি জখম ওই প্রধানকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। তাদের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপি এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করছে। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে পুলিশ ও তৃণমূল নেতারা নবান্ন অভিযানে যেতে বাধা দিয়েছিল। যদিও ঘটনায় জেলা পুলিশের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।