এনএফবি, কোচবিহারঃ
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে মোট ২১ জন। এই ঘটনায় বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ কোচবিহার জেলা বিজেপির। এর প্রতিবাদে রবিবার রাজ্য জুড়ে থানা ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিল বিজেপি।
আজ বিকেলে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার ঘেরাও করেন কোচবিহার জেলা বিজেপি। এ দিন ওই থানা ঘেরাও আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে, সঞ্জয় চক্রবর্তী সহ আরও অনেকে।
এদিন এবিষয় কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে বলেন, “পুলিশ, প্রশাসনের সামনেই তৃণমূল সমর্থকেরা আমাদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের ওপর হামলা চালান। মন্ত্রীর গাড়িতে ভাঙচুর চালাল, পুলিশের সামনেই গুলি ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটল, আর গ্রেফতার হল বিজেপির কর্মীরাই। আমাদের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ভাষা শুনে তৃণমূল কর্মীরা উৎসাহিত হয়ে শনিবার রাত থেকে আমাদের একাধিক পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। দলীয় কর্মীদের বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা চাই মন্ত্রী উদয়ন গুহকে গ্রেফতার করার দাবিতে জেলায় জেলায় থানা ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, শনিবার দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দু’দিন আগেই তৃণমূল নেতা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেম কুমার বর্মনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে কোনও কোচবিহারে কোনও কর্মসূচী যেন পালন করতে না পারে। তার নির্দেশ মতই শনিবার দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকায় নিশীথকে কালো পতাকা নিয়ে পথ আটকায় তৃণমূল কর্মীরা। এরপরই সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল এবং বিজেপি। দুই দলই একে অপরের বিরুদ্ধে বোমাবাজি, গুলি চালানো, তির ছোড়ার অভিযোগ করেছে।
ওই ঘটনার জেরে জেলা জুড়ে মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত না করেই বেছে বেছে শুধু বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করেছে।