এনএফবি, কলকাতাঃ
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন। এই অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো অবস্থা হয়নি বলে একইসঙ্গে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”কোভিডের তৃতীয় ঢেউ ফের শুরু হয়েছে। ওমিক্রন বাড়ছে। এই অবস্থায় স্কুল কলেজ খোলা থাকবে কিনা তা দেখতে হবে। মাধ্যমিকও রয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে হবে। সংক্রমণের সংখ্যা বাড়লে প্রয়োজনে আবার স্কুল কলেজ বন্ধ করে দিতে হবে।“ এদিন মুখ্যমন্ত্রী পরিস্কার জানিয়ে দেন, “ বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের কথা আগে ভাবতে হবে। দেখতে হবে যাতে ওরা অসুস্থ হয়ে না পড়ে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে হবে।“ তবে উদ্বিগ্ন হওয়া বা ভীতির মতো অবস্থা হয়নি বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, লকডাউনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যের স্কুল, কলেজ খুলেছে। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন চলছে।
স্বাস্থ্য দফতরের সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বৈঠকে জানান, কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে সংক্রমণের হার গত কয়েকদিন ধরে বেড়েছে। যা শুনে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতাকে কনটেনমেন্ট জোন করার কথা বলেন। তবে বছরের শেষ এবং নতুন বছরের শুরুতে রাজ্যবাসীর বিভিন্ন পরিকল্পনা থাকে, সেই কারণে ৩ জানুয়ারি থেকে কনটেনমেন্ট জোন করার কথা বলেছেন মমতা। প্রয়োজনে জানুয়ারি থেকেই ফের সরকারি, বেসরকারি দফতরে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালুর কথা জানিয়েছেন তিনি।
কলকাতায় বাড়ছে সংক্রমণ। বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ বিভিন্ন কারণে আসেন মহানগরে, তাহলে কী ফের ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হবে? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, “এখনই সব বন্ধ করতে যেও না। গঙ্গাসাগর চলছে, লোকাল ট্রেনের উপরও প্রভাব পড়বে। কিন্তু কিছু কমিয়ে দিতে হবে। জনগণের যাতে অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।“
গত কয়েকদিন ধরেই করোনা নিয়ে বারবার সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নবান্নে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি বৈঠক থেকে বিধি মেনে চলার আর্জি জানিয়েছেন। প্রয়োজনে কড়া বিধিনিষেধ কার্যকরের ইঙ্গিত দিয়েছেন।