তৃণমূল বিধায়ক কানাই চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে রেলের টিটি-কে খু*নের হুমকির অভিযোগ!

এনএফবি মুর্শিদাবাদ:

গত ২/৯/২০২৪ এ রাত্রিবেলায় নিউজ ফ্রন্ট বাংলা একটি ভিডিও শেয়ার করে যেখানে দেখা যাচ্ছে নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাই চন্দ্র মন্ডল একটি ট্রেনের এসি কামরার ভিতরে টিটি এবং পাশাপাশি কয়েকজন মহিলার সঙ্গে তুমুল কথা কাটাকাটি চলছে। রাত্রিবেলায় সেই ভিডিও শেয়ার করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। সকাল হতে হতে সেই ভিডিও বিরোধী দলের ছোট বড় সব নেতারাই শেয়ার করতে থাকেন। সেখানে বিধায়ককে দেখা যায় টিটিকে তিনি রীতিমতো ধমকাচ্ছেন চমকাচ্ছেন এবং ভয় দেখাচ্ছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার, মালদা-হাওড়া ডাউন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে। ট্রেন নম্বর ১৩২৬৬-এ যাত্রা করছিলেন কানাই চন্দ্র মণ্ডল। অভিযোগ অনুযায়ী, বিধায়ক নিজের স্ত্রীর ‘নাম’ ব্যবহার করে একজন অন্য মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে চলাচল করছিলেন। ট্রেনের ১ নম্বর কোচে যাত্রা করছিলেন তাঁরা।

রেলকর্মী টিটি টিকিট চেক করার সময় লক্ষ্য করেন যে, বিধায়কের স্ত্রীর বয়সের তুলনায় সঙ্গে থাকা মহিলার বয়স কম। এই তথ্যের ভিত্তিতে টিটি ওই মহিলাকে চ্যালেঞ্জ করেন এবং তার আইডি কার্ড দেখতে চান। আইডি কার্ড দেখে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ওই মহিলা বিধায়কের স্ত্রী নন। এরপর তাকে জরিমানা করা হয়।

এই ঘটনার সময়, বিধায়ক কানাই মণ্ডল টিটি-র সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং তাঁকে খুনের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ওই কামরার বাকি যাত্রীরা এসে প্রতিবাদ করেন। এই বিষয়ে রেলের তরফে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

রেলের তরফে জমা দেওয়া অভিযোগ

ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “ওই মহিলা একটি সাধারন টিকিট কেটে এসি চেয়ার কামরায় উঠে পড়েছিলেন । টিকিট পরিক্ষক তাঁর কাছে ৫০০ টাকা দাবি করেন । ওই টাকা দিতে অস্বীকার করেন ওই মহিলা । পরবর্তীতে আমার সঙ্গে দেখা হলে তাঁকে আমার পাশের সিটে বসার জায়গা করে দিই ।এই বিষয়ে বিধায়ক লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন “। পূর্ব রেলের জন সংযোগ আধিকারিক বলেন, “এই রকম ঘটনা হামেশাই ঘটে । অনেকেই সিট ম্যানেজ করে সফর করেন ৷ এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি ৷”

ফাইনের রিসিভ কপি

তৃণমূল বিধায়কের এহেন আচরণে তীব্র কটাক্ষ করলেন বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী ৷ তাঁর কথায়, “বিষয়টি কতটা সত্যি, আমি যাচাই করে দেখিনি ৷ তবে সত্যি হলে একজন জনপ্রতিনিধির কাছে এই ব্যবহার আশা করা যায় না ৷ সাধারণ মানুষ কী শিখবে !”

এই ঘটনা তখনই ঘটল, যখন তৃণমূল নেতা অভিষেক ব্যানার্জি দলের কর্মীদের সংযত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। একজন নির্বাচিত প্রতিনিধির এই ধরনের আচরণে প্রশ্ন উঠছে।