এনএফবি, ওয়েব ডেস্কঃ অমলাদিত্য ফিল্মস অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ ওয়ার্কস-এর ব্যানারে খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে নতুন সিনেমা “আবার আসিব ফিরে”। এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন দেবপ্রতিম দাশগুপ্ত, যিনি তাজু নামেও পরিচিত। সিনেমাটির প্রযোজনায় রয়েছেন কেশবানন্দ মুখোপাধ্যায়, দেবদত্ত মুখোপাধ্যায় এবং মিঠুন চক্রবর্তী।
মুক্তির তারিখ:
সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আগামী ২৫শে অক্টোবর।
অভিনয়ে:
সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে রয়েছেন ঋত্বব্রত মুখোপাধ্যায়, ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়, মীর আফসার আলি, রিয়াঙ্কা রায়, শঙ্কর দেবনাথ, তুলিকা বসু, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, পার্থসারথি চক্রবর্তী, সুপ্রতিম রায়, পিয়া দেবনাথ এবং বিশেষ অতিথি শিল্পী হিসেবে শুভশ্রী গাঙ্গুলি।
চিত্রনাট্য ও অন্যান্য টেকনিক্যাল টিম:
চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক দেবপ্রতিম দাশগুপ্ত নিজেই, ক্যামেরার দায়িত্বে আছেন পরমেশ্বর হালদার। সিনেমাটির সংগীত পরিচালনা করেছেন রাতুল শঙ্কর এবং সম্পাদনার কাজ করেছেন পার্থিব জোয়ারদার।
সঙ্গীত শিল্পীরা:
এই সিনেমার সঙ্গীতে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় শিল্পী রূপম ইসলাম, ইন্দ্রনীল সেন, জোজো, দুর্নিবার সাহা, দেব চৌধুরী, অমৃতা দত্ত, সৌমী এবং দীপান্বীতা আচার্য।
প্রচার ও মার্কেটিং:
সিনেমাটির গণমাধ্যম প্রচার এবং মার্কেটিং-এর দায়িত্বে রয়েছেন রানা বসু ঠাকুর (JLT), এবং ডিস্ট্রিবিউশন করছে কলকাতা ফিল্মস।
গল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
সিনেমার গল্পটি ধাত্রীপুর গ্রামের এক বিত্তশালী বৃদ্ধ প্রাণেশবাবু এবং তার মা-হারা নাতি প্রদ্যুতকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। প্রদ্যুত দীর্ঘদিন পর আমেরিকা থেকে দাদুর ডাকে দেশে ফিরে আসে। প্রদ্যুতের বিশ্ব ভ্রমণের ইচ্ছা থাকলেও, তার জন্য অর্থের অভাব রয়েছে। প্রাণেশবাবু তাকে প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য অর্থের ব্যবস্থা করবেন, তবে তার বিনিময়ে প্রদ্যুতকে কিছু গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে।
এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রদ্যুতের সামনে উন্মোচিত হয় বাংলার বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি। ধীরে ধীরে সে বাংলার বিভিন্ন ঐতিহ্য এবং লোকজীবনের সাথে পরিচিত হতে থাকে—নবদ্বীপের কীর্তন, সুন্দরবনের বাঘ, বাঁকুড়ার ভাদু-টুসু, পুরুলিয়ার ছৌ নাচ, মুর্শিদাবাদের আলকাপ, রায়বেঁশে, এবং বীরভূমের বাউল গান। দেশীয় সংস্কৃতির গভীরে প্রবেশ করে প্রদ্যুতের মনন এবং জীবনধারা পরিবর্তিত হয়।
প্রদ্যুত কি পারবে দাদুর দেওয়া গুরুদায়িত্ব পালন করে গুপ্তধন উদ্ধার করতে? বিশ্বভ্রমণ না অন্য কিছু—শেষ পর্যন্ত কী হবে তার জীবনের উদ্দেশ্য?
এই গল্পের মধ্য দিয়েই প্রদ্যুত তার নিজের শিকড়ের দিকে ফিরে আসার অঙ্গীকার করে এবং বাংলার মাটির প্রতি তার এক অদ্ভুত ভালোবাসা জন্মায়।
এই সিনেমা “আবার আসিব ফিরে” মূলত বাংলার সংস্কৃতি, প্রকৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতি এক গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।