মাঝে কয়েক মাসের ব্যবধান, কোচবিহারের সভাপতি ফের পার্থ

এনএফবি,কোচবিহারঃ

বিধায়কদের এক সাথে পাওয়া যাবে না জানিয়ে এই মুহূর্তে সকলকে নিয়ে বৈঠক করা সম্ভব নয় বলে জানালেন সদ্য কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া পার্থ প্রতিম রায়। আজ তিনি কলকাতা থেকে কোচবিহারে ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানেই তিনি জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর সাথে টেলিফোনে কথা হয়েছে সিতাইয়ের দলীয় বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়ার। এছাড়া দিনহাটার বিধায়ক ২০ মার্চ পর্যন্ত কলকাতায় থাকবেন। পরেশ বাবুও কলকাতায় রয়েছেন। ২৮ মার্চ পর্যন্ত বিধানসভা চলবে। দলের সমস্ত বিধায়ককে বিধানসভায় থাকার জন্য দলীয় হুইপ রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে সকলকে একসাথে পাওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে এখনই সকলকে নিয়ে কোচবিহারে জেলা তৃণমূলে কোন বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানালেন পার্থ বাবু।
এর আগেও কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন পার্থ প্রতিম রায়। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন তাঁর নেতৃত্বেই হয়েছিল। ওই নির্বাচনে কোচবিহার জেলার ৯ আসনের মধ্যে মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এরপরেই পার্থ প্রতিম রায়কে সরিয়ে গিরীন্দ্রনাথ বর্মণকে জেলা সভাপতি করা হয়। জেলা কমিটির চেয়ারম্যান করা হয় উদয়ন গুহকে। দায়িত্ব পরিবর্তনের কয়েক মাসের মধ্যেই ফের পার্থ প্রতিম রায়কে জেলা সভাপতির দায়িত্বে ফিরিয়ে নিয়ে আসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে এদিন পার্থ বাবু বলেন, “কোথাও কোন ত্রুটি ছিল নিশ্চিত ভাবে বলেই হয়ত আমাকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছিল। এবার ফের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করার চেষ্টা করবো।”
গতকাল জেলা সভাপতির দায়িত্বে ফেরানোর পর, নেত্রী সকলকে এক সাথে নিয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছিলেন পার্থ প্রতিম রায়কে। এদিন এপ্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে পার্থ বাবু বলেন, “আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মমতাময়ী মা বলে মানি। তিনি আমাদের অভিভাবক। কাজেই তিনি এভাবেই বলবেন, আমরা কোথাও দুষ্টামি করলে বকা দেবেন, এটাই তো স্বাভাবিক।”
এদিন সকালে নিউ কোচবিহার স্টেশনে এসে নামেন পার্থ বাবু। তাঁর সাথে ছিলেন জেলার বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা আব্দুল জলিল আহমেদ এবং মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি শুচিস্মিতা দেব শর্মা। নিউ কোচবিহার স্টেশনের বাইরে মঞ্চ বেঁধে সেখানে জমায়েত হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। ওই মঞ্চেই পার্থ বাবুকে ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। তারপর বাইক র‍্যালি করে কোচবিহার শহরে নিয়ে আসা হয়।