গ্রামে প্রবেশ করে না অ্যাম্বুলেন্সও! প্রতিবাদে পঞ্চায়েত বয়কটের ডাক

এনএফবি, মালদাঃ

ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ পার হয়ে গেলেও এখনও গ্রামবাসীদের চলাফেরার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নদীপথ। বর্ষার মরশুমে নৌকা, আবার গরমের মরশুমে অস্থায়ী বাসের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হয় এমনই ছবি উঠে এলো পুরাতন মালদা ব্লকের মুচিয়া অঞ্চলের বিধানগড় শিবগঞ্জ এলাকায়। এই এলাকার বসবাস করেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ। স্থানীয় প্রশাসন থেকে ব্লক ও জনপ্রতিনিধিদের বহুবার বলা সত্ত্বেও তাদের স্থায়ী যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ব্রিজ করা হয়নি। ভোট আসে ভোট যায় শুধু নেতাদের প্রতিশ্রুতি। ভোট পেরোলেই এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের দেখা যায় না। তাই দুটি গ্রামের মানুষ এবার একজোট হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবারে পঞ্চায়েত ভোট থেকে তারা বিরত থাকবেন। এবারে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাদের একটাই দাবি স্থায়ী ব্রিজ করতে হবে।

সুদীপ্তা বোস, পড়ুয়া

স্থানীয়দের অভিযোগ, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না থাকার ফলে এই গ্রামে কোন পাত্র-পাত্রী বিয়ে হয় না গ্রামে বরের গাড়ি থেকে শুরু করে অ্যাম্বুলেন্স এমনকি চারচাকা গাড়িও গ্রামে প্রবেশ করতে পারে না। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে খাটে করে বাঁশের অস্থায়ী ব্রিজ পার করে তারপর সেখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে উঠতে হয়। শিক্ষার জন্য এই গ্রামের অনেক ছেলে মেয়েরাই পড়াশোনা করতে পারে না। কারণ পড়াশোনা করতে গেলে তাদেরকে শহরে যেতে হয় এবং সেটা যেতেও দিনে প্রতিদিন প্রায় ৭০ টাকা করে খরচ হয়ে যায়।

সমস্যা নিয়ে মালদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক গোপাল সাহা জানান, এই বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসনকে বলেছিলেন কিন্তু জেলা প্রশাসন কোনোও রকম উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না। মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন তিনি জানান, রাজ্য সরকার গ্রাম বাংলায় রাস্তা, থেকে পানীয় জলের বহু উন্নয়ন কাজ করেছেন তবে শিবগঞ্জ বিধানগরের মানুষের যে সমস্যা রয়েছে স্থায়ী ব্রিজ করতে গেলে কিছুটা সময় লাগবে বিষয়টি প্রশাসনের কর্তাদের খোঁজখবর নিয়ে পাঠানো হবে।