এনএফবি, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
অনেকেই ভাবছেন আপেল তো শীতকালীন ফল। কিন্তু আমাদের এই গরমের জায়গায় কি করে আপেল করবেন? কিন্তু আপনার যদি ছাদ বাগানের শখ থাকে তাহলে আপনিও আপনার ছাদে টবের মধ্যে চাষ করে আপেল ফলিয়ে পাড়া পড়শিকে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন। পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকদের বিকল্প চাষে আর্থিক ভাবে উৎসাহিত করে তুলতে পারেন। এমনটাই করে দেখিয়েছেন বালুরঘাট পুরএলাকার ৪নং ওয়ার্ডের সংকেত পাড়ার বাসিন্দা স্বপন চক্রবর্তী।
ভারতের আপেল মানেই প্রথমেই আসে বরফঢাকা পাহাড়ি অঞ্চল কাশ্মীরের নাম। শীতপ্রধান অন্য অঞ্চলেও হয় কিছু কিছু। কিন্তু উষ্ণ অঞ্চলে কমলা ফললেও আপেল ফলার কথা প্রায় শোনাই যায় না। যদিও সমস্ত প্রজাতির আপেল এই গরম আবহাওয়াতে হয়না। তবে কিছু কিছু প্রজাতির চাষ এখন করা সম্ভবপর বলে মনে করছেন নিজের ছাদে আপেল ফলিয়ে ফেলা স্বপন বাবু।
তবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মতো উষ্ণ ক্রান্তীয় অঞ্চলে আপেল বাগান করে এবং তাতে ফল ধরিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বালুরঘাট শহরের এই বাসিন্দা। কিন্তু অত সহজ ছিল না। তার কথায়, তিনি যে আগে চেষ্টা করেননি তা নয়, তবে সেই চাষ ফলপ্রসু হয়নি।
তার কথায়, “বাজারে আপেল বলতে সাধারণত হাই চিলিং জায়গার আপেল আমরা পেয়ে থাকি। যা ভীষণ ঠান্ডার জায়গায় হয়। কিন্তু সম্প্রতি লোচিলিংয়েও আপেল চাষ হচ্ছে। সেরকম লোচিলিং প্রজাতির তিনটি আপেল চারা যেমন এইচ আর এম ৯৯, ইজরাইলের এনা ও ডোরসেট গোল্ডেন যা বাহামার। এই তিন প্রজাতির আপেল চারা ১০০ থেকে ৩০০ বা ৪০০ ঘন্টা যদি এই লোচিলিং মানে ঠান্ডার প্রবাহে থাকে তবে এই চাষ করা যায়।” পূর্বে কাশ্মীরি আপেলের চারা নিয়ে এসে লাগিয়ে ২০ বছরেও যেখানে ফল ফলাতে পারেন নি। অথচ হিমাচলপ্রদেশ থেকে এই লোচিলিং প্রজাতির আপেলের চারা নিয়ে এসে ৯ টি গাছ লাগিয়ে মাত্র ২ বছরের মধ্যে আপেল ফল ফলিয়ে তাক লাগিয়ে দিতে পেরেছেন বলে জানান তিনি।
এতদিন ছিলেন লোকচক্ষুর অগোচরে। এবার গাছে ফল আসায় ফিরে পেয়েছেন নিজের মনোবল। তার এই আপেল চাষ দেখে যদি বেকার যুবক ও স্থানীয় কৃষকরা বিকল্প চাষ হিসেবে এই আপেল চাষ করতে উৎসাহিত হয়ে আগ্রহী হতে চায় তাহলে তিনি সর্বতো ভাবে সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন।