মুখার জনপ্রিয়তার ভরে গ্রামীণ হস্তশিল্পে ‘শ্রী’ ফেরার আশায় শিল্পীরা

এনএফবি, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের মহিষবাথান বহু বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী মুখা শিল্প গম্ভীরা নাচের জন্য বিখ্যাত। ইতিমধ্যেই জেলা ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী রাজ্য এমনকি ভিনদেশেও পাড়ি দিয়েছেন এলাকার মুখা শিল্পীরা। ঐতিহ্যবাহী মুখা শিল্পের জনপ্রিয়তা বাড়তেই এই হস্ত শিল্পের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বহু মানুষের। মহিষবাথান গ্রামীণ হস্তশিল্প সমবায় সমিতিতে উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে, প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই এখন মুখা তৈরি করছেন।
গত কয়েক মাস আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলাশাসক আয়েশা রানি কুশমন্ডি মহিষবাথান গ্রামীণ হস্তশিল্প সমবায় সমিতি পরিদর্শন করেন। এরপরই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঐতিহ্যবাহী মুখা বিক্রির জন্য একটি অনলাইন ওয়েবসাইট ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এহেন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মহিষবাথান এলাকার মুখা শিল্পীরা।

চলছে মুখা তৈরীর কাজ


মহিষবাথান গ্রামীণ হস্তশিল্প সমবায় সমিতির সম্পাদক পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন “জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এখন মুখা বিক্রি আরও বাড়বে বলেই মনে করছি আমরা।”
লোকমুখে প্রচলিত আছে প্রায় কয়েকশো বছর আগে কুশমন্ডি ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় মাসে কৃষকেরা ঘরে ফসল তোলার আগে, ফসলের উপর থেকে অশুভ শক্তির প্রভাব দূর করতেই মুখা পড়ে গম্ভীরা পুজো ও বিশেষ নিত্য আয়োজন করতেন। সেই সময় থেকেই প্রাচীণ প্রথা মেনেই মুখা পড়ে গম্ভীরা পূজা আয়োজিত হয়ে আসছে আজও। বিগত কয়েক বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী মুখার জনপ্রিয়তা বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ইতিমধ্যেই জেলা, রাজ্য ছাড়িয়ে অন্যান্য দেশেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মহিষবাথানের মুখা শিল্পীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী মুখা পড়ে নিত্য পরিবেশন করেছেন। এরই মাঝে জেলা প্রশাসন মুখা শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিতেই অত্যন্ত খুশি জেলার মহিষবাথান এলাকার মুখা শিল্পীরা।

পরেশ চন্দ্র সরকার।