ক্রীড়া

রবিবার দরকার আট উইকেট, রঞ্জিতে জয়ের হ্যাটট্রিকের সামনে বাংলা

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

রঞ্জিতে নিজেদের জয়ের হ্যাটট্রিকের মুখে বাংলা।তৃতীয় দিনে বাংলার বোলিংয়ের সামনে চণ্ডীগড়ের প্রথম ইনিংস ২০৬ রানে শেষ হয়ে যায়। ২৩১ রানের লিড পায় বেঙ্গল।
শনিবার তৃতীয় দিনে ৬ উইকেটে ১৩৩ রানে খেলা শুরু করে চণ্ডীগড়। মুকেশ কুমার ফের জ্বলে ওঠেন। তাঁর বলে গৌরব গম্ভীর এলবিডব্লিউ হন। এরপর অঙ্কিত কৌশিক এবং জাসকরণদীপ সিংহ অষ্টম উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেন। তবে এই জুটি ভাঙেন ঈশান পোড়েল। তাঁর বলে কট বিহাইন্ড হন কৌশিক (৬৩)। সেই ওভারেই ঈশান তুলে নেন শ্রেষ্ঠ নির্মোহির (০) উইকেটও। পরের ওভারে জাসকরণদীপকে (৩১) ফেরান শাহবাজ। শনিবার ঈশান পোড়েল ২টি এবং মুকেশ কুমার ও শাহবাজ আহমেদ ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বড় ধাক্কা খায় বাংলা। ১৮ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়ে বসে তারা। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ ১৪ রান করে আউট হন। এরপরে দ্বিতীয় ইনিংসে হাতে রান থাকায় বাংলা আক্রমণ নির্ভর ব্যাটিং করে। দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৩ করেন অনুষ্টুপ মজুমদার। ৬৩ বলে ৩৮ করেন অভিষেক পোড়েল। ৪৬ বলে ৩২ রানে আউট হন শাহবাজ আহমেদ। বাকি ব্যাটাররা সে ভাবে রান পাননি। ৪১২ রানে এগিয়ে থেকে ডিক্লেয়ার দেয় বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই ফের বাংলা বোলিংয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পরে চণ্ডীগড় ব্যাটিং। তাঁদের দুই ওপেনার আর্সলান খান ও হর্নুর সিং প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন। তৃতীয় দিনের শেষে চণ্ডীগড়ের স্কোর ২ উইকেটে ১৪। ১টি করে উইকেট নেন মুকেশ কুমার আর ঈশান পোড়েল। রবিবার খেলার শেষ দিন। ম্যাচ জিততে বাংলার দরকার আর ৮ উইকেট । বিশাল অঙ্কের রান তোলা চন্ডীগড়ের পক্ষে প্রায় অসম্ভব । সেই কারণে বলা যায় টিম বেঙ্গলের জয় কেবল সময়ের অপেক্ষা ।

তৃতীয় দিনের শেষে বাংলার নির্ভরযোগ্য ব্যাটার অনুস্টুপ মজুমদার জানান,”আমাদের থেকে সেরাটা আসতে এখনও বাকি আছে। বোর্ডে বড় রান তুললেও ব্যাটারদের মধ্যে এখনও ধারাবাহিকতার অভাব দেখা যাচ্ছে। বাংলার হয়ে রান করলে সব সময়ই ভালো লাগে। উইকেট এখন অনেক স্লো হয়ে গিয়েছে। উইকেট পেতে বোলারদের অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। তবে বোলারদের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। আমাদের শেষ ২টো ম্যাচ ওরাই জিতিয়েছে। উইকেট থেকে সাহায্য না পেলেও আমরা জানি, আমাদের বোলাররা বাকি ৮ উইকেট তুলে ম্যাচ জেতাতে সক্ষম হবে।”