অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে বাংলা। শুক্রবার মণিপুরকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেলো টিম বেঙ্গল । শুক্রবার মঞ্জেরি পায়ানাড স্টেডিয়ামে মণিপুরকে উড়িয়ে দিল রঞ্জন ভট্টাচাৰ্য্যর ছেলেরা ।
এ দিন ম্যাচের দু’মিনিটেই এগিয়ে যায় বাংলা। বক্সের বাইরে থেকে সুজিত সিং গোল করে বাংলাকে এগিয়ে দেন। মণিপুরের গোলকিপার চিংখেই মিতেই বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে শট আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বল তাঁর নাগাল পেরিয়ে গোলে ঢুকে যায়। পাঁচ মিনিট পরে আবার এগিয়ে যায় বাংলা। গোল করেন ফারদিন আলি মোল্লা। মণিপুরের গোলরক্ষক চিংখেইয়ের বাড়ানো একটি ভুল বল ধরে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল করেন এটিকে মোহনবাগানের এই ফুটবলার।প্রথমার্ধে আর গোল আসেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি আবার এগিয়ে যায় বাংলা। গোল করেন দিলীপ ওঁরাও। দ্বিতীয় পোস্টে ক্রস ভাসিয়েছিলেন। তবে তা এতটাই নিখুঁত ছিল যে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে যায়। এরপরেও গোলের সুযোগ আসে তবে সেটা মিস করে বঙ্গ ব্রিগেড। মণিপুর গোলের সুযোগ পেলেও দারুন সেভ করেন গোলরক্ষক প্রীয়ন্ত সিং। তিনিই ম্যাচের সেরা হন । ম্যাচের শেষে তিনি জানালেন,”কোচকে ধন্যবাদ উনার পরিকল্পনামাফিক আমরা খেলেছি । তবে ট্রফি জয় আমাদের টার্গেট। ৪০ বছর পর কেরালাতে ফাইনাল খেলতে নামব আমরা। ঠিকই করে নিয়েছিলাম খালি হাতে ফিরব না। এবার আর মাত্র একটা ম্যাচে ভালো খেলতে হবে।”
বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচাৰ্য্য বলেন, “মণিপুর ভারতীয় ফুটবলকে এখন অনেককিছু দিয়েছে । তবে আমি বলেছিলাম আমরা হারাতে পারি মণিপুরকে, সেটা হলো। আবার বলছি সোমবারের ফাইনালও আমাদের চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার কোনো কারণ নেই । বাংলা চ্যাম্পিয়ন ছাড়া কিছু বোঝে না । বাংলার সব ফুটবল প্ৰিয় মানুষকে বলবো তারা যেন বাংলার সঙ্গে থাকে । সব কিছু প্রশংসার দাবিদার ছেলেরা ওরা সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে খেলেছে তাই সফল হল। অনেকটা দূর এসেছি এবার ট্রফি চাই।” সোমবার বাংলার প্রতিপক্ষ কেরালা। গ্রপ ম্যাচে কেরালার কাছে হারতে হয়েছে। ছয় বছর আগে যুবভারতীতেও এই কেরালার কাছেই হারতে হয়েছে বঙ্গ ব্রিগেডকে। সেই কারণে সোমবার কেরালার মাঠে কেরালার বিরুদ্ধে ফাইনাল কঠিন লড়াই রঞ্জন ভট্টাচাৰ্য্যর ছেলেদের।