এনএফবি, শিলিগুড়িঃ
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামলো তিন মেডিক্যাল পড়ুয়া ৷ অরবিন্দ ছেত্রী,কমলাকান্ত সাহা ও তন্বিষ্ঠা রায়। শুক্রবার দিল্লি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছোয় তারা। বাগডোগরা বিমানবন্দরে ফিরতেই তিন পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।
অরবিন্দ ছেত্রী শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ির দুধগেটের বাসিন্দা ৷ সে লভিভ ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ৷ কমলাকান্ত সাহা মালদার বাসিন্দা, টার্নোপিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং তন্বিষ্ঠা রায় আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা ৷ সে কিভ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এদিন বিমানবন্দরে পা দিয়ে তিন পড়ুয়া তাদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছে ৷ তন্বিষ্ঠা রায় বলে যে, ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ থেকে বিস্ফোরণ শুরু হয়েছে। এরপর থেকে আমরা বেসমেন্টের ভেতরেই ছিলাম। সেখানে পরিস্থিতি এতটাও ভালছিল না। দূতাবাস যখন আমাদের বেরিয়ে যেতে বলছে তখন বেরিয়ে গিয়েছিলাম। এরপর বর্ডার পার করে পোল্যান্ডে প্রবেশ করি। সেখান থেকে দূতাবাস আমাদের সাহায্য করে এবং দেশে ফিরি। সে আরও বলে, যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, গুলি চলছে তার শব্দ শুনেছি, ভয় লাগতো। যখন বিস্ফোরণ হতো তখন সাইরেন বাজতো আমরা হোস্টেলের বেসমেন্টে চলে যেতাম। ইউক্রেন গভর্নমেন্ট অনেক হেল্প করেছে এবং ভারত সরকার অনেক সাহায্য করছে। এর জন্য ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুনঃ ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরল আলিপুরদুয়ারের গৌরব
কমলাকান্ত সাহা বলে যে, দেশে ফিরে খুব ভাল লাগছে এর জন্য ধন্যবাদ জানাই ভারত সরকারকে। আর সেখানকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আশা করছি সব কিছু ঠিক হয়ে যাক, যাতে আবার সেখানে পড়তে যেতে পারি। আমি টার্নোপিল এ ছিলাম সেখান থেকে পায়ে হেঁটে ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পোল্যান্ডে প্রবেশ করি। এরপর সেখান থেকে দেশে ফিরি। অরবিন্দ ছেত্রী বলেন, খুব ভাল লাগছে দেশে ফিরে। বর্ডার যখন ৮০ কিলোমিটার দূরে ছিল তার ৩০ কিলোমিটার আগেই আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর আমি রাতভোর পায়ে হেঁটে চলতে থাকি। এবং বর্ডারে পৌঁছোনোর পর দুদিন দুরাত দাঁড়িয়ে ছিলাম মাইনাস পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কিন্তু বের হতে পারিনি। এরপর সেখান থেকে ফিরে যাই এবং অন্য বর্ডারে দিয়ে বের হয়ে দেশে ফিরলাম ৷