ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরলেন উত্তরবঙ্গের ৮ পড়ুয়া

এনএফবি, শিলিগুড়িঃ

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে ফিরলেন উত্তরবঙ্গের আট ডাক্তারী পড়ুয়া। এদিন শিলিগুড়ির ৩ পড়ুয়া, উত্তর দিনাজপুরের ৩ পড়ুয়া ও আলিপুরদুয়ারের ২ পড়ুয়া এক‌ই সাথে বিমানবন্দরে নামেন।

শিলিগুড়ির প্রীতম মালাকার ইউক্রেনের পোল্টাভায় স্টেট ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া, বিশাল সাহা খারকিভ ন‍্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির তৃতীয় বর্ষের এবং অক্ষত কুমার দাস কিয়েভ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের পড়ুয়া । আলিপুরদুয়ারের দিভয়ম কৌশিক ও তনবির ইসলাম বুকোভেনিয়ান স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার দুই ভাই সোহেল আখতার ও সাহিদ আখতার বোগোমোলেটস ন‍্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির পড়ুয়া এবং ইসলামপুরের পাভেল দাস টার্নোপিল ন‍্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ।

বিমানবন্দরে নেমে প্রীতম মালাকার বলেন, “আমার বর্ডারে পৌঁছোতে খুব কষ্ট হয়েছিল। আমি ২৮ তারিখ থেকে জার্নি শুরু করি এবং বর্ডারে পৌঁছোই ৬ মার্চ ৷ এরপর দেশে ফিরি।” বিশাল সাহা বলেন যে, “আমাদের খারকিভ রেল স্টেশনে যেতে হয় পায়ে হেঁটে, আর ঠিক ওই মুহূর্তেই আমাদের সামনেই বোমাটা ফেলেছিল। সেই মুহুর্তে ট্যাক্সিটা পেয়েছিলাম এর জন্য বেঁচে গেছি তা নাহলে আমরা এখানে থাকতাম না। এরপর সেখান থেকে লাভিভ শহরের দিকে গেলে সেখানে আমাদের ট্রেনে উঠতে দিচ্ছিল না। প্রথমে ইউক্রেনিয়ানদের ট্রেনে উঠতে দিয়ে পরে ভারতীয়দের উঠতে দেওয়া হয় ৷ ট্রেনে ওঠার ক্ষেত্রে জাতিগত খুব ভেদাভেদ করা হচ্ছিল। ট্রেনে ওঠার পর পোল্যান্ড বর্ডারে যাওয়া হয়। সেই মুহূর্তে খারকিভের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল ৷ চারদিকে বোমা পড়েছে একটা সুরক্ষিত জায়গা নেই। এখনও ছাত্ররা ওখানে ফেঁসে আছে। আমার বন্ধু যারা রয়েছে তারা ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বর্ডারে যাচ্ছে। পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক হয় তাহলে আমাদের আবার ফিরে যেতে হবে কারণ আমরা তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আর পড়াশোনার কেরিয়ারে একটা প্রশ্ন চিহ্ন রয়েই যাচ্ছে । তাই ভারত সরকার যদি কোন ভাবে আমাদের সাহায্য করে তাহলে খুবই ভাল হয়। দেশে ফিরে খুব ভাল লাগছে। “