সন্তানকে নিজের কাছে চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে আসামের রাস্তায় অসহায় পিতা

এনএফবি, পূর্ব মেদিনীপুরঃ

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার মহেশতলার বাসিন্দা সৌমেন মাইতির সাথে আসামের গুয়াহাটি নিবাসী সোনালী দাসের বিয়ে হয় ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল। বিয়ের এক বছরের মাথায় একটি পুত্রসন্তানও হয় তাদের। সৌমেন বাবুর অভিযোগ, ২০১৯ এর সেপ্টেম্বর মাসে সোনালী দেবী পাকাপাকি ভাবে আসামে ফিরে আসেন ছেলেকে নিয়ে। এবং লিখে আসেন ছেলের সাথে দেখা করতে চাইলে সৌমেন বাবু দেখা করতে পারবেন। ডিভোর্স, চাইল্ড কাস্টডির পেপার সৌমেন বাবু পাঠালেও সোনালীদেবী তা গ্রহণ করেনি। উপরন্তু সন্তানের সাথে দেখা করতে চাইলে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বাবা ও ভাই কে দিয়ে মারধর করানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন সৌমেন বাবু, বিস্তর চেষ্টার পরেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য না পাওয়ায় সোমবার ৮ই মার্চ গুয়াহাটিতে শ্বশুর বাড়ির সামনে ধরনায় বসলে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের কর্মীদের হুমকির সম্মুখীন হতে হয় বলে জানান সৌমেন বাবু। পুনরায় বৃহস্পতিবার শ্বশুর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন তিনি। ধরনায় বসলে স্থানীয় পুলিশ সৌমেন বাবুকে বাধা দেয় এবং কিছু পরে পুনরায় সৌমেন বাবু কামরূপ কমিশনার অফিসের সামনে ধরনেয় বসেন।

সৌমেন মাইতি


তিনি আরও অভিযোগ করেন, টাকা পাঠালে সেটা গ্রহণ করা হয় ঠিকই,কিন্তু টাকা ছাড়া অন্য কোনো উপহার স্বরূপ জামা কাপড়, খাদ্যসামগ্রী অনলাইন কুরিয়ার মারফত পাঠানো হলে সেটা না নিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। অনেক বার স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে গেলে সেখান থেকে তাকে সতর্ক করা হয় শ্বশুর বাড়ির সামনে না যেতে এমনটাই অভিযোগ করেন তিনি। বর্তমানে ৪ বছর পরে যাতে তিনি নিজের সন্তানকে এখন একবার দেখতে পান এবং নিজের সন্তানের দায়িত্বভার যাতে পান সেই আর্জি জানিয়েছেন আইনের কাছে।

সৌমেনের আইনজীবী