মাছ চাষের অধ্যয়ন
এনএফবি, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় “অ্যাকুয়াটিক বায়ো-রিসোর্স রিসার্চ ল্যাবরেটরি”(ABRRL)-র গবেষণাগারের সিনিয়র গবেষক সহ প্রাণীবিদ্যার স্নাতকোত্তর পাঠরত ছাত্র ছাত্রীর দল দ্বারা পরিচালিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জলীয় পরিবেশ বিদ্যা এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের বিশেষীকরণের পাঠ্যক্রমের অংশ হিসাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ায় মাছ চাষের বিভিন্ন সুবিধাগুলিতে একটি মাঠ অধ্যয়ন করে। হলদিয়ার মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু হলদিয়ার বিভিন্ন মৎস্য খামার হ্যাচারী ঘুরিয়ে দেখান। গবেষক ছাত্রছাত্রীর দল মাছ চাষিদের সাথে গুণগত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বান্ধব আধুনিক মাছ চাষের বিষয় গুলি জেনে নেন। হলদিয়ার এমন সুন্দর ও শিক্ষনীয় মাছ চাষ ও জলজ পদ্ধতিতে টেকসই অনুশীলন শিখতে কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের বরিষ্ঠ অধ্যাপক গবেষক ও জুলজসি সোস্যাইটির সাধারণ সম্পাদক সুমিত হোম চৌধুরি “অ্যাকুয়াটিক বায়ো-রিসোর্স রিসার্চ ল্যাবরেটরি” (ABRRL)-র গবেষণাগারের গবেষক সহ ছাত্র ছাত্রীদের দলকে হলদিয়ায় পাঠান। হলদিয়া ব্লক মৎস্য বিভাগে সকালে তারা এসে উপস্থিত হন। মৎস্য আধিকারিক হলদিয়ার “ইন্টেগ্রেডেট ডাইভারসিফাইড ফিশ ফার্মিং” সহ আধুনিক পরিবেশ বান্ধব মাছ চাষের বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করেন। তারপর ওনাদের বসানচক গ্রামে তরুণ মাছ চাষি শুভ্রজ্যোতি সাহু, মহিলা চাষি বন্দিতা ভৌমিক, সুব্রত মাইতির মাছের হ্যাচারী সহ বিভিন্ন মৎস্য খামার ঘুরে দেখেন। হলদিয়ার ফিশারী অফিসার সুমন কুমার সাহু বলেন, গবেষক ছাত্র ছাত্রীদের দল যেমন হলদিয়ার মাছ চাষের বিষয় গুলো জানলো তেমনি এবং হলদিয়া ব্লকের মাছ চাষিরাও বিশেষ উৎসাহিত হল এতে আরও বেশি করে আমাদের সরকারি প্রকল্প রূপায়ণে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে।
মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ গোকুল মাজি বলেন, “হলদিয়া মাছ চাষে দৃষ্টান্ত। যা আগামীতে এলাকার আর্থ সামাজিক আরও উন্নয়ন ঘটাবে। মাছ চাষিরাও আনন্দিত, যে মাছ চাষ করেও শিক্ষিত সমাজ তাদের কাজ দেখতে আসছে।
![](https://newsfrontbangla.com/wp-content/uploads/2022/04/WhatsApp-Image-2022-04-09-at-5.09.00-PM-1024x576.jpeg)