বারপুজোতে মিলে গেলো এটিকে ও মোহনবাগান
অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
পয়লা বৈশাখে ছন্দে ফিরল কলকাতা ময়দান । একইসঙ্গে বারপুজোর হাত ধরে মিলে গেল এটিকে ও মোহনবাগান ।এদিন গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে গান , কবিতা মিষ্টিমুখে জমজমাট ছিল ক্লাব তাঁবু।
করোনার জন্য গত দু’বছর ময়দানের ক্লাবগুলোয় বার পুজো হয়েছে নমো নমো করে। তবে করোনা ভীতি কমতেই ময়দানের আবেগের বিস্ফোরণ ঘটে গেল । মোহনবাগান ক্লাব কর্তাদের আমন্ত্রণ রক্ষা করতে এদিন তাঁবুতে এসেছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো, সহকারী কোচ বাস্তব রায়। ফুটবলারদের মধ্যে এসেছিলেন প্রীতম কোটাল, শুভাশিস বসু, লিস্টন কোলাসো, সুব্রত পাল, কিয়ান নাসিরিরা। তাঁদের সঙ্গে রেখেই বাগান সচিব দেবাশিস দত্ত সহ বাকি কর্তারা বারপূজা করলেন ।এসেছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে ছিলেন মানস ভট্টাচার্য্য, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
![](https://newsfrontbangla.com/wp-content/uploads/2022/04/WhatsApp-Image-2022-04-15-at-6.55.43-PM.jpeg)
সবুজ মেরুন কোচ ফেরান্দো বললেন, ক্লাবের সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানালেন। আর বললেন নতুন অভিজ্ঞতা হল। অসাধারণ । সদস্য সর্মথকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমি। বাগান সচিব দেবাশিস দত্ত জানালেন,”সারা বছর আমাদের জালে যাতে বল না ঢোকে সেই জন্যই এই পুজো। খুব ভালো লাগল এতদিন পরে ক্লাবে সবাইকে দেখতে পেলাম বলে।” এসেছিলেন সাংসদ তথা প্রাক্তন মোহনবাগান ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি বলেন, “এটাই মোহনবাগানের সংস্কৃতি। আমাদের ক্লাবকে দেখেই বাকিরা এগোয়।” এদিকে মোহনবাগানের নতুন সহ সভাপতি কুণাল ঘোষও এলেন ক্লাবের বারপুজোতে। তিনি জানালেন, “মোহনবাগান ক্লাব তো শুধু ফুটবল নয় আবেগ ঐতিহ্যর অপর নাম। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মোহনবাগান ক্লাবের নাম। আশা করছি মোহনবাগান ক্লাবে সাফল্য আসবে। ফুটবল সহ যে যে খেলা ক্লাব খেলে সেখানে সাফল্য আসুক এটাই আমি চাই।” আগামী মঙ্গলবারে এএফসি কাপে মোহনবাগানের পরবর্তী খেলা, ১৯ এপ্রিল আবাহনী ঢাকার বিরুদ্ধে। সে ম্যাচেও রয় কৃষ্ণকে পাবেন না ফেরান্দো। বাগান কোচ মেনে নিচ্ছেন কৃষ্ণর না থাকায় দলের আক্রমণভাগের শক্তি একটু কমবে। তিনি বললেন, ‘‘কৃষ্ণ পারিবারিক সমস্যার জন্য নেই। যারা আছে তাদের নিয়েই পরিকল্পনা করতে হবে।’’
![](https://newsfrontbangla.com/wp-content/uploads/2022/04/WhatsApp-Image-2022-04-15-at-6.56.19-PM.jpeg)