অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন ঋদ্ধিমান সাহা। তিনি যে বাংলা দলের হয়ে খেলবেন না এটাই ঋদ্ধিমান সাহার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলা দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। না,কোচ অরূণ লালের ফোনেও কাজ হল না।
এদিন সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন,“আমরা চেয়েছিলাম ঋদ্ধিমান বাংলার হয়ে রঞ্জি নকআউটে খেলুক। সেই কথা ঋদ্ধিকে বলেওছিলাম। তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু ঋদ্ধিমান জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি খেলবেন না।” অরূণ লাল জানান,”ওর এই সিদ্ধান্তটা মানতে পারছি না। খারাপ লাগছে।”বেঙ্গালুরুতে রঞ্জি ট্রফির নক আউট পর্ব শুরু ৬ জুন। বাংলা দল শুক্রবারই বেঙ্গালুরু যাচ্ছে। তার আগে বেঙ্গালুরুতে দু’টি অনুশীলন ম্যাচ খেলবে বাংলা। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ।
এদিকে, ঋদ্ধিমানের পরিবর্তে শাকির হাবিব গাঁধীকে দলের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এবারের রঞ্জির গ্রুপ লিগে হাবিব উইকেটের পিছনে ছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিএবির যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস ঋদ্ধিমানের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এছাড়াও সিএবির অন্দর মহলে ঋদ্ধিকে নিয়ে নানান নোংরা রাজনীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। ঋদ্ধির একটাই দাবি ছিল, দেবব্রতকে ক্ষমা চায়তে হবে। সেটা না হওয়ায় বাংলা দলের হয়ে না খেলার সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন ঋদ্ধিমান। কোচ অরুণ লালের নেতৃত্বে বেশ ভালো পারফরমেন্স করছে বাংলা দল। ২০১৯ -২০ মরশুমে রানার্স হয়। তবে এবার ট্রফি চায় বঙ্গ ব্রিগেড।
এবার করোনার জন্য অন্য ফরম্যাটে রঞ্জি হচ্ছে।
ঘোষিত ২২ সদস্যের বাংলা দলঃ
অভিমন্যু ঈশ্বরণ (অধিনায়ক), মনোজ তিওয়ারি, মহম্মদ শামি (বিসিসিআই অনুমতি সাপেক্ষে), অনুষ্টুপ মজুমদার, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, শাহবাজ আহমেদ, অভিষেক রামন, ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায়, সায়নশেখর মণ্ডল, মুকেশ কুমার, আকাশ দীপ, ঈশান পোড়েল, কৌশিক ঘোষ, ঋত্ত্বিক রায়চৌধুরী, প্রদীপ্ত প্রামাণিক, করণ লাল, নীলকণ্ঠ দাস, সুদীপ ঘরামি, অভিষেক পোড়েল, মহম্মদ কাইফ, অঙ্কিত মিশ্র।