অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ হতে পারেন পর্তুগালের জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার জর্জ কোস্তা । ২০০৩-০৪ মরশুমে পোর্তোকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন করার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন পর্তুগালের জাতীয় দলের প্রাক্তন এই ডিফেন্ডার। পর্তুগালের জাতীয় দলের হয়ে ৫০টি ম্যাচ খেলা এই প্রাক্তন ফুটবলারকে আসন্ন আইএসএল ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে দেখা যেতে পারে। কলকাতা লিগ, ডুরান্ড কাপ, আইএফশিল্ড এ লাল হলুদ কোচ থাকবেন বাংলা দলের কোচ রঞ্জন ভট্টাচাৰ্যই।
কোস্তার সঙ্গে অনেকটাই কথা এগিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। আইএসএল এর সঙ্গে ভাল মতোই পরিচিত এই কোচ। কোস্তা ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আইএসএল-এ দায়িত্ব সামলেছেন মুম্বই সিটি এফসি’র। কোচ হিসেবে তাঁর পরিসংখ্যান খুব একটা আশানুরূপ নয়। ৪৩.৫৯ শতাংশ ম্যাচে জয় পেয়েছেন তিনি। মুম্বই সিটি এফসির হয়ে ৩৯ ম্যাচে ১৭টি ম্যাচ জিতেছেন এবং ১৪টি হেরেছেন। ড্র করেছেন ৮টি ম্যাচে। এছাড়াও অতীতে একাধিক ক্লাবে কোচিং করালেও সাফল্য হাতে গোনা দু’টি। পর্তুগালের ক্লাব এস সি ওলহানেনসেকে দ্বিতীয় ডিভিশন লিগ চ্যাম্পিয়ন করে তুলে আনেন প্রথম ডিভিশনে। ক্লুজের হয়ে জেতেন রোমানিয়া লিগা ১। ফলে এই কোচ এলে ইস্টবেঙ্গলের মতো ক্লাবের কতটা লাভ হবে সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যদিও এখনও কিছু চূড়ান্ত নয়। তবে, কোস্তার আসার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। ইস্টবেঙ্গল সোমবার সই করালো বাংলার সন্তোষ ট্রফি দলের স্ট্রাইকার শুভম ভৌমিককে।
ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিনিয়োগকারী হিসাবে এলো ইমামি গ্রুপ। ইনভেস্টর জট কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দারস্থ হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।মুখ্য়মন্ত্রীর দৌলতে ইমামির সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধল ইস্টবেঙ্গল।
যদিও এখনও ইনভেন্টর ঠিক হয়ে গেলেও কত শতাংশ তাঁদের দখলে থাকবে জানা যায়নি। এছাড়াও এখনও পর্যন্ত ওঠেনি ট্রান্সফার ব্যান। বাকি রয়েছে একাধিক ফুটবলারের বকেয়া। পাশাপাশি বিগত মরশুম গুলি কোয়েস, শ্রী সিমেন্টের মতো ইনভেস্টররা এসে চলে যাওয়া। এগুলি খুব একটা ভাল বিজ্ঞাপন নয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্য। হালে আধিকাংশ ফুটবলারই লাল-হলুদের ওপর থেকে আস্থা হারিয়েছেন বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। বেতন সমস্যা ছাড়াও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে বড় ইস্যু বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে মতের অমিল। কোয়েস হোক বা শ্রী সিমেন্ট, দুই পর্বটাই মধুর হয়নি। সবমিলিয়ে বিগত কয়েক বছরের ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে আমেজ খুব একটা আরামদায়ক ছিল না। আগামী সময়েও যে এমনটা হবে না তারও নিশ্চয়তা নেই। ফলে ফুটবল মহলে গুঞ্জন, ফুটবলাররা নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না লাল-হলুদ সই করার। ফলে দল গঠনের কাজ ব্যাহত হতে পারে।