এনএফবি, নিউজ ডেস্কঃ
বৃটিশ যুক্তরাজ্যের আদালতে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে প্রত্যর্পণ আপিলে জয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।
শুক্রবার বৃটিশ আপিল বিভাগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এই রায় দেয়।আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এবং আল জাজিরা সূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে।
গতবছর ইউকের একটি আদালত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে নাকচ করে দেয়। ওই রায়ে কারণ হিসেবে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে বিচারের মুখামুখি হওয়ার মতো মানসিক অবস্থা নেই জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবীরা। মার্কিন আইনজীবী জেমস লুইস বলেন, অ্যাসাঞ্জের গুরুতর অথবা স্থায়ী মানসিক অসুস্থতার কোনো ইতিহাস নেই। অ্যাসাঞ্জ এমন কোনো অসুস্থ রোগী নয় যে সে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না।
৫০ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যাসাঞ্জ ২০১০ সালে পেন্টাগন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ দফতরের লাখ লাখ সামরিক ও কূটনৈতিক গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে বিশ্বজুড়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন। ওই সব নথির মধ্যে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে আফগান যুদ্ধ সম্পর্কিত ৭৬ হাজার এবং ইরাক যুদ্ধ সম্পর্কিত আরও ৪০ হাজার নথি ছিল, যা যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও পেন্টাগনকে চরম বেকায়দায় ফেলে দেয়।
এই আলোচনার মধ্যেই সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মামলা হয়। গ্রেফতার এড়াতে ২০১২ সালে অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন। তারপর থেকে তিনি সেখানেই ছিলেন। ২০১৯ সালে জামিনের শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে বৃটিশ পুলিশ অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করার পর থেকে বেলমার্শ কারাগারে বন্দি আছেন তিনি।
অ্যাসাঞ্জের এই রায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তাঁর বাগদত্তা স্টেলা মরিস। তিনি এই রায়কে,’বিপজ্জনক এবং বিপথগামী’ বলে অভিহিত করে বলেছেন, যে মার্কিন আশ্বাসগুলি ‘স্বভাবতই অবিশ্বস্ত’। একই সাথে স্টেলা আদালতের বাইরে আবেগঘন বিবৃতিতে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, “গত… আড়াই বছর ধরে, জুলিয়ান বেলমার্শ কারাগারে বন্দি এবং প্রকৃতপক্ষে তাকে ৭ ডিসেম্বর ২০১০ থেকে কোনো না কোনোভাবে আটক করা হয়েছে, ১১ বছর। কতদিন এভাবে চলতে পারে?”
ভিডিও সৌজন্য বিবিসি