এনএফবি, স্পোর্টস ডেস্কঃ
ইস্টবেঙ্গল শিবিরে করোনার থাবা, করোনা আক্রান্ত হলেন তাঁদের ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। গত কয়েকদিন জ্বরে ভুগছিলেন স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন । তাঁর কোভিড টেস্ট করানো হয় । রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আপাতত আইশোলেসনে থাকবেন স্টিফেন ৷অনুশীলন করাবেন সহকারী কোচ বিনো জর্জ।
জানা গেছে, অনুশীলন আর ক্লাবের মাঠে হবে না ৷ আপাতত সল্টলেক যুবভারতীর প্রাকটিস গ্রাউন্ডে অনুশীলন হবে। ইমামি ইস্টবেঙ্গল ইতিমধ্যে ডুরান্ড কাপ থেকে ছিটকে গেছে। এখন তাঁদের টার্গেট আইএসএলে ভালো ফুটবল খেলা। গত দুই বছরের ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো। সেই লক্ষ্য নিয়ে দল করেছে তারা। ডুরান্ড কাপের শেষ ম্যাচে মুম্বাই এফসিকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে ছন্দময় ফুটবলেরই উপহার দেয় লাল হলুদ ব্রিগেড। ইতিমধ্যেই দলে ৬ জন বিদেশী চলে এসেছে।মাত্র ১৫-১৬ দিনের অনুশীলনেই ডুরান্ডে দল নামিয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। স্বাভাবিকভাবেই ফল খুব একটা ভাল হয়নি। তবে শুরুটা ভাল না হলেও শেষটা ভাল হয়েছে। ৪ ম্যাচের মধ্যে ইন্ডিয়ান নেভি ও রাজস্থান ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্রয়ের পর এটিকে মোহনবাগানের কাছে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়। শেষ ম্যাচে অবশেষে আসে বহু কাঙ্ক্ষিত জয়। মুম্বই সিটি এফসিকে ৪-৩ ব্যবধানে হারায় লাল-হলুদ শিবির। স্টিফেনে আস্থা আছে পুরো লাল হলুদ দলের।
সূত্রের খবর, বিনো জর্জকে সহকারি হিসেবে চাইছেন না ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন৷ তিনি চান বিনো জুনিয়র দল এবং একাডেমির দলের দায়িত্বে থাকুক। সহকারী হিসেবে স্টিফেন চাইছেন ভেঙ্কটেশকে। তার সঙ্গে অতীতে কাজ করেন স্টিফেন।ইস্টবেঙ্গলে ভারতের প্রাক্তন কোচ দায়িত্ব নিয়েই বলেন,এখানে আমি হারতে আসিনি। সফল হতে এসেছি। আমি যখন ভারতীয় দলের হয়ে যে সাফল্য পেয়েছিলাম,ইস্টবেঙ্গলেও সেই সাফল্যই পেতে চাই।তরুণদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ আছে। আশা করছি, এদের মধ্যে থেকেই উঠে আসবে নতুন কোনও প্রতিভা।” আগামী ৭ অক্টোবর কেরালা ব্লস্টার্স দলের বিরুদ্ধে আইএসএল অভিযান উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়ে আইএসএলের যাত্রা শুরু করবে ইস্টবেঙ্গল।ইস্টবেঙ্গল গত ছয়টি ডার্বিতেই হেরেছে ২০২২-২৩ আইএসএলে যে সূচী প্রকাশ হয় , সেই অনুযায়ী কলকাতা ডার্বির প্রথম লেগ হবে ২৯ অক্টোবর ও দ্বিতীয় লেগ হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি। লিগ পর্বে কলকাতার দুই প্রধানের শেষ ম্যাচ এটিই। তবে যা-ই হোক না কেন, ডার্বি নিয়ে উন্মাদনা কোনও কিছুতেই কমার নয়।
প্রথম ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গল তাদের শেষ ম্যাচ খেলবে ২০ অক্টোবর, অর্থাৎ এই দুই ম্যাচের মাঝখানে তারা পাবে আট দিন। আর দ্বিতীয় ডার্বির আগে তারা প্রস্তুতির জন্য সময় পাবে পাঁচ দিন। কারণ, ২৫ ফেব্রুয়ারির আগে তাদের শেষ ম্যাচ ১৯ তারিখে।