অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা, তারপরই অলিম্পিকের পরে বিশ্বের সবথেকে বড় স্পোর্টিং ইভেন্ট শুরু। ২০ নভেম্বর থেকে কাতারে বসতে চলেছে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। চলবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলেছে ৩২টি দলের পাশপাশি আয়োজক দেশ কাতার তো আছেই। এমন পরিস্থিতিতে কাতার সরকার বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে নিল বড় সিদ্ধান্ত।
কাতার সরকারের তরফে ঘোষণা বিশ্বকাপ চলাকালীন সকল সরকারী কর্মচারিরা বাড়িতে বসে কাজ করতে পারবেন। এমনকি, বিশ্বকাপ শুরুর দুই সপ্তাহ আগে সমস্ত সরকারী ও বেসরকারী স্কুলগুলির পঠনপাঠন দুই ঘন্টা কমিয়ে দেওয়া হবে এবং বিশ্বকাপ শুরু হলে, সমস্ত স্কুলে ছুটি দেওয়া হবে।
এই সিদ্ধান্ত মূলত নেওয়া হয়েছে দেশে প্রচুর বিদেশী অতিথি আগমণের জন্য। আশা করা হচ্ছে, প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ বিশ্বকাপ দেখতে আসবেন কাতারে, যা সে দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক। আর এর ফলে যাতায়াত ও যানবাহনের বড় অসুবিধা হতে পারে। তাই দেশের সরকারী কর্মীদের আগামী ১ নভেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮০ শতাংশ কর্মচারীকে বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে কাতার সরকার।
পাশাপাশি ১-১৭ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত চলবে স্কুল এবং তারপর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে স্কুল ছুটি।কাতার বিশ্বকাপের আয়োজন করতে খরচ হয়েছে ১৭,৬৮,১৮৯ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। বিশ্বকাপের জন্য কাতারে আটটি নতুন স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছে।
পাশাপাশি তৈরি করতে হয়েছে দলগুলির জন্য অনুশীলনের মাঠও। এছাড়া মাঠে দর্শক ও ফুটবলারদের নানারকম সুযোগ সুবিধার জন্যও খরচ হয়েছে অনেক টাকা। দ্বিতীয় কাতারে সব হোটেল মিলিয়ে ঘরের সংখ্যা ছিল কম-বেশি ৩০ হাজার।এখনও পর্য়ন্ত ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবথেকে বেশি খরচ হয়েছিল ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে ১,৩২,৭০৭ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। তার ১৫ গুনেরও বেশি টাকা খরচ করে ফেলেছে কাতার।
রাশিয়ায় ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনে খরচ হয়েছিল ১,০২,৬২৬ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কোনও বিশ্বকাপ আয়োজনের খরচ ১ লক্ষ কোটি টাকা পেরোয়নি।
এই কাতার বিশ্বকাপই হতে চলেছে আর্জেন্টিনা সুপারষ্টার লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপ। সেই কথা ঘোষণা করেছেন এলএমটেন। আর এক ফুটবল মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো যদিও এখনও অবসরের কথা ঘোষণা করেননি। তবে মনে করা হচ্ছে কাতারে শেষ বার বল পায়ে নিয়ে নামবেন সিআরসেভেন।