মাথাভাঙ্গা রেলস্টেশনে করোনা পরীক্ষা

এনএফবি,কোচবিহারঃ

মাথাভাঙ্গা রেল স্টেশনে পদাতিক এক্সপ্রেস সহ একাধিক ট্রেন থেকে আসা যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করাল স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন।

এদিন শিয়ালদহ থেকে নিউ আলিপুরদুয়ারগামী পদাতিক এক্সপ্রেসে আসা মাথাভাঙ্গা রেলস্টেশনে নামা যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করা হয়।
রাজ্যে কলকাতা সহ আশপাশের জেলাগুলোতেও করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। তাই করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে তৎপর জেলা প্রশাসন থেকে মহকুমা প্রশাসন সকলেই । এই উদ্দেশ্যে মাথাভাঙ্গা মহকুমা শাসকের দফতরে একটি প্রশাসনিক বৈঠক সংগঠিত হয়। যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কলকাতা থেকে আসা সমস্ত রেলযাত্রীদের মাথাভাঙ্গা রেল স্টেশনে করোনা পরীক্ষা করা হবে। সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতেই আজ মাথাভাঙ্গা রেল স্টেশনে পদাতিক এক্সপ্রেসে আসা যাত্রীদের লালা রসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, সংগৃহীত এই নমুনা আরটিপিসিআর করে তিনদিন পর যাত্রীদের রিপোর্ট দেওয়া হবে। তবে উল্লেখ্য, যে এ দিনের নমুনা সংগ্রহের সময় স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা খুবই কম থাকায় স্টেশন চত্ত্বরে ভিড় জমে যায় ফলে অনেক রেলযাত্রীকেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। রেলযাত্রীদের অভিযোগ, সমগ্র প্রক্রিয়াতে স্বাস্থ্য দফতরের নিয়ম অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি। তবে স্বাস্থ্য দফতরের এই উদ্যোগকে তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে মাথা ভাঙ্গা রেল স্টেশনে কিছু রেলযাত্রীকে নমুনা সংগ্রহের সময় দ্বিধাবোধ করতেও দেখা গেছে ৷

নিজস্ব চিত্র

মাথাভাঙ্গার পঞ্চানন পাড়ার বাসিন্দা কলকাতায় নার্সিং পাঠরতা চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ঈপ্সিতা রায় ভবিষ্যতে রেলস্টেশনে সামাজিক দূরত্ব মানার দিকে দৃষ্টিপাত করেন ৷ তবে তিনি স্বাস্থ্য দফতরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ৷

এবিষয়ে মাথাভাঙ্গা মহকুমা শাসক অচিন্ত্য কুমার হাজরা বলেন, “মাথাভাঙ্গা রেল স্টেশনে কলকাতা থেকে আসা যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তারা তাদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ৩ থেকে ৪ দিন পর পেয়ে যাবেন। তাদের সম্পূর্ণ ঠিকানা এবং ফোন নম্বর নিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং সকলকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যত দিন না পর্যন্ত তাদের করোনা রিপোর্ট হাতে পায় । পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী না থাকার বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই ৷ তবে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।