প্রয়াত বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র
এনএফবি, কলকাতাঃ
নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্রের জীবনাবসান। মৃত্যুকাল তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। রবিবার দুপুর ৩ টে নাগাদ নিজ বাস ভবনেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তী নাট্যকার শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রর কন্যা। বার্ধক্য জনিত কারণেই এই মৃত্যু বলে জানা গেছে। বেশ কিছু দিন থেকেই লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গিয়েছিলেন পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপক বিশিষ্ট এই নাট্যকর্মী। ভুগছিলেন বয়স জনিত নানা অসুখে।
বাংলা, ইংরাজি-সহ বিভিন্ন ভাষায় নাট্যজগতে নিজের ছাপ রেখেছেন শাঁওলি মিত্র। ২০১১ সালে বাংলায় পালাবদলের সময় আরও অনেক বিশিষ্ট বিদ্বজ্জনের সঙ্গে পথে নেমে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের বিরোধিতা করেছিলেন ‘নাথবতী অনাথবৎ’ খ্যাত শাঁওলি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
এ দিন দুপুরে সিরিটি মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। বাবা শম্ভু মিত্রর মতো শাঁওলিও তাঁর শেষ ইচ্ছাপত্রে জানিয়ে গিয়েছিলেন, নশ্বর দেহের দাহকার্যের পরই যেন তাঁর মৃত্যুর খবর সবাইকে জানানো হয়।বিশিষ্ট নাট্যকারের শেষ ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে এ দিন দাহকার্যের পর তাঁর মৃত্যু সংবাদ প্রকাশ্যে ঘোষণা করা হয়। এ দিন তাঁর শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যকর্মী এবং রাজনীতিবিদ অর্পিতা ঘোষ।
আজীবন বাংলা নাট্যজগৎ এবং সিনেমার একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন শাঁওলি। কাজ করেছেন ঋত্বিক ঘটকের মতো স্বনামধন্য পরিচালকের ছবিতে। ২০০৩ সালে সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হন অনন্য অভিনয়ের জন্য। ২০০৯ সালে পান পদ্মশ্রী পুরস্কার। ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে বঙ্গবিভূষণ সম্মান প্রদান করে। দীর্ঘদিন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অকাদেমির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বাংলা নাট্যজগৎ।