এনএফবি, কোচবিহারঃ
তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা। ওই ঘটনায় দুই পক্ষের কম করে আহত হয়েছে ৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙ্গা শহরের এটিএম মাঠ সংলগ্ন এলাকায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
অভিযোগ, মাথাভাঙ্গা শহরের এটিএম মাঠ সংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের নিয়ে একটা পিকনিক ছিল। সেই পিকনিকের খাওয়া-দাওয়া সেরে যখন তৃণমূল কর্মীরা সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিল, সেই সময়ে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর রড সহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এই খবর পেয়ে স্থানীয় জনগণ ও তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্ব সেখানে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কোচবিহারে এম জে এম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । এই ঘটনায় সরাসরি বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। পুরসভা নির্বাচনের দিন ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে কিন্তু তারই মাঝে মাথাভাঙ্গা পুর এলাকায় ৩ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুনঃশীতলকুচিতে ভোট-পরবর্তী হিংসায় যুক্ত দোষীদের খোঁজে পুরস্কার ঘোষণা সিবিআইয়ের
বিজেপির জেলা সম্পাদক অভিজিৎ বর্মন জানান, এই ঘটনার সাথে বিজেপি কোন ভাবে জড়িত নয়। তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দল বিজেপির ঘাড়ে চাপাতে চাইছে।
অন্যদিকে, মাথাভাঙ্গা শহর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব অভিযোগ করে বলেন, পুরসভা নির্বাচনের আগে মাথাভাঙ্গায় নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বিজেপি, তারই প্রথম ধাপ দেখা গেল এদিন। ইতিমধ্যে গোটা বিষয়টি সম্পর্কে মাথাভাঙ্গা থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর।
বিজেপির প্রার্থী ওয়ার্ডের সভাপতি চন্দ্র শেখর রায় বসুনিয়া বলেন, আমাদের আহত কর্মীদের মধ্যে সুমন রায় বসুনিয়া মাথাভাঙ্গা মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, অপর আরেক কর্মী বারীন্দ্র মজুমদার (শঙ্কু) কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুনঃ মাথাভাঙ্গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি তৃণমূল-বিজেপির