বাঁচাতে পারলেন না, আক্ষেপ বিদেশের
অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
রাজনীতির মঞ্চ কখনও পছন্দ করতেন না। কিন্তু ফুটবলার বিদেশ বসু ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন শুনে খুশি হয়েছিলেন সুরজিৎ। কারণ ফুটবলের লোক থাকলে খেলাধুলোর মঙ্গল। আর উলুবেড়িয়া পূর্বর বিধায়ক বিদেশ বসু জানাচ্ছেন,”সত্যি বলছি কোনও ভাষা নেই কথা বলার। সুরজিৎ দার সঙ্গে সব সময় আমাদের যোগাযোগ ছিল। ফুটবলের দিকে নজর দিতে বলতেন সবসময়। করোনা হয়ে উনার শরীর খারাপ হল। উনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে আমাদের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আমাদের সবাইকে ডেকেছিলেন। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান, আইএফএর প্রত্যেক প্রতিনিধি ছিলেন। কীভাবে তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য কী করা যায়, হাসপাতালের কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে হওয়া আলোচনার সময় উপস্থিত ছিলেন। তবে উনি আমাদের ভালো করার সুযোগ দিলেন না। আমাদের কিন্তু প্রতিনিয়ত আলোচনা হচ্ছিল তাঁকে সুস্থ করে তোলার জন্য কী করা যায়। আমরা প্রতিনিয়ত তাঁর মেডিকেল আপডেট পাচ্ছিলাম। তবে আমরা কোনওদিনই ভালো খবর পাচ্ছিলাম না। করোনা যে কত মানুষদের কেড়ে নিল! সুভাষদা চলে গেল। এদিকে সুরজিৎদা চলে গেল। তার আগে আমার বন্ধু চিন্ময় চলে গিয়েছিল। সব চেয়ে কষ্টের হল, এই বয়সটা কী চলে যাওয়ার? এই বয়সটা তো চলে যাওয়ার নয়। সেই কষ্টটা প্রকাশ করতে পারছি না। শেষ দেখা হয়েছিল, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে। এটা মেনে নিতে পারছি না। সব সময় হাসি খুশি থাকতেন তিনি। মজা করে কথা বলত। সত্যি এটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।” এরপর মানুষ সুরজিৎকে নিয়ে বিদেশ বসু জানাচ্ছেন, “ভীষণ মজার মানুষ ছিলেন। ১৯৭৮ সালে আমরা সন্তোষ ট্রফি খেলতে গিয়েছিলাম কাশ্মীরে। ওখানে সুরজিৎ দার সঙ্গে বন্ধুর মত মিশে মজা করি আমরা। যারা ওই সময় টিমে ছিল না তারা ভাবতে পারবে না, আমরা কীভাবে দিন কাটিয়েছিলাম ওই সময়। আমি সুরজিৎদার সঙ্গে এক ক্লাবে খেলেছি, বাংলার হয়ে, ভারতের হয়েও আমি সুরজিৎদার সঙ্গে একসঙ্গে খেলেছি। এমন বড় ফুটবলার ও এমন বড় মানুষ ভারতীয় ফুটবল খুব কম পেয়েছে। বাংলার ফুটবলের জন্য উনার বেঁচে থাকটা দরকার ছিল।”
আরও পড়ুনঃ প্রয়াত সুরজিৎ সেনগুপ্ত