জুলাই 5, 2024
Latest:
স্থানীয়

পরিত্যক্ত বোমার ধাতব অংশ ভাঙতেই ঘটল বিপত্তি

এনএফবি, ঝাড়গ্রামঃ

বায়ুসেনার পরিত্যক্ত শেল ‘চুরি’ করে বাড়িতে এনে তা থেকে তামা ও পিতল বের করতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল একজনের। গুরুতর জখম হয়েছেন পরিবারের আরও তিন সদস্য। সাঁকরাইল থানার আঙ্গারনালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রামজীবন রানা (৪৫)। জখম হয়েছেন তাঁর স্ত্রী মালতী, মেয়ে মেনকা ও জামাই সুরজিৎ রানা।

জানা গিয়েছে, কলাইকুন্ডা বায়ুসেনার পরীক্ষামূলক বম্বিং জোন রয়েছে সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত অঙ্গারনালী এলাকার। ওই জোনে সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ। তবুও বোমায় ব্যবহার করা মূল্যবান তামা ধাতুর খোঁজে কিছু মানুষ রাতের অন্ধকারে জঙ্গলে গিয়ে বোমার ধাতুর সংগ্রহ করে। সূত্রের খবর, রামজীবন বায়ুসেনার একটি না ফাটা অবস্থায় বোমা পেয়েছিল কোন মাধ্যম থেকে। রামজীবন পেশায় লোহার কাজ করেন। বোমা হাতে পেয়ে এদিন সকালে তিনি হাতুড়ি দিয়ে বোমা খোলার চেষ্টা করছিলেন তখন হঠাৎই বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রামজীবনের। বাড়িতে বোমা খোলার সময় রামজীবনের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী মালতি রানা, মেয়ে মেনোকা রানা এবং জামাই সুরজিৎ রানা। বোমার জেরে এরা তিনজন আহত হয়। বোমার বিস্ফোরণে রামজীবনের বাড়িটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বোমার শব্দ শুনে স্থানীয় গ্রামবাসীরা রামজীবনের বাড়িতে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ভাঙ্গাগড় হাসপাতালে নিয়ে যায়। রামজীবনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহত তিনজনকে ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রামজীবনের স্ত্রী মালতি রানা ও মেয়ে মেনোকা রানার অবস্থা আশঙ্কাজনক। রামজীবন এর জামাই সুরজিৎ রানা কেবলমাত্র হাঁটুতে চোট পেয়েছেন। এদিন সুরজিৎ রানা সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, “এয়ারফোর্সের বোমা ছাড়াচ্ছিলেন ছেনি হাতুড়ি দিয়ে। সেই সময় ওটা ফেটে গিয়ে শ্বশুর রামজীবনের মৃত্যু হয়। আমি আমার স্ত্রী মেনোকা রানা ও শাশুড়ি মালতি রানা আহত হয়েছি। আমার বাড়ি খড়্গপুরের শলুয়া এলাকায়। আগামীকাল গ্রামে শীতলা পূজা রয়েছে বলে আমরা শ্বশুর বাড়ি এসেছিলাম”। কিন্তু সুরজিৎ পরিষ্কারভাবে জানেন না যে তার শ্বশুর এয়ারফোর্সের বোমাটি কিভাবে পেলেন।