এনএফবি, নদিয়াঃ
আইন অনুযায়ী নাবালিকার সম্মতি ক্রমে যৌন সম্পর্কও ধর্ষণ- হাঁসখালিতে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে প্রতিক্রিয়া জানালেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ মহুয়া নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ বলেন,” অত্যন্ত ধিক্কারজনক ঘটনা। নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয় জরুরি নয়। আমাদের সরকার যা যা পদক্ষেপ করার করছে। ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি এক্ষেত্রে গ্রহণ করা হয়েছে। “
পাশাপাশি মহুয়া আরও বলেন,” পকসো আইন মোতাবেক মামলা রুজু হয়েছে। এক্ষেত্রে একটি বিষয় বলা প্রয়োজন নাবালিকার সম্মতিতেও যদি যৌন সম্পর্ক হয় সেক্ষেত্রে তা বেআইনি। পকসো আইন মোতাবেক পদক্ষেপ করা হবে।“
মহুয়ার এই মন্তব্য অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। সোমবার বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড প্রসঙ্গে বলেন, “আপনি রেপ বলবেন, নাকি প্রেগনেন্ট বলবেন, না কি লাভ অ্যাফায়ার বলবেন… না কি শরীরটা খারাপ ছিল, নাকি কেউ ধরে মেরেছে? পুলিশকে বলেছিলেন গোটা বিষয়টা জানাতে। শুনেছি, ছেলেটির নাকি মেয়েটির সঙ্গে লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল। ইজ ইট আ ফ্যাক্ট?…”
উল্লেখ্য, নদিয়ার হাঁসখালিতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। শাসক তৃণমূলের স্থানীয় এক প্রভাবশীল নেতার ছেলের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ। একইসঙ্গে প্রমাণ লোপাটের জন্য তার মৃত্যুর পর দেহ ময়নাতদন্ত না করেই দাহ করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্য জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। চাইল্ড লাইনের সাহায্যে নদিয়ার হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কাউকেই রেয়াত করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে মহুয়া।