জুলাই 1, 2024
Latest:
ক্রীড়া

সুদীপের শতরানে রঞ্জির কোয়াটারের প্রথমদিনে অ্যাডভান্টেজ বাংলার

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

অনবদ্য বাংলা। যে ব্যাটিং লাইন নিয়ে রঞ্জি কোয়াটারে নামার আগে চিন্তা ছিল টিম বেঙ্গলের সেই ব্যাটিং লাইন আপই রঞ্জি কোয়াটারে বেঙ্গালুরুর মাঠে বিরুদ্ধে বাংলাকে অক্সিজেন দিয়ে দিলো। সৌজন্যে অবশ্যই সুদীপ ঘরামির শতরান। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ১৭৭ বলে শতরান করলেন সুদীপ। রঞ্জি ট্রফিতে এটাই তাঁর প্রথম শতরান ।

এর আগে বাংলার হয়ে রঞ্জিতে অর্ধশতরানও ছিল না সুদীপের। এদিন সব সুদে আসলে মিটিয়ে দিলেন ২৩ বছরের এই ডানহাতি ব্যাটার। এদিন টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ঝাড়খণ্ড।
বাংলার দুই ওপেনার অভিষেক রামন এবং অভিমন্যু ঈশ্বরন বেশ ভালোই শুরু করেন ।প্রথম উইকেটে ওপেনিং জুটি ৮৮ করে ফেলে। কিন্তু অভিষেক ৪১ রানে ব্যাট করার সময় পিঠে চোট পান। আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপরে ব্যাট করতে আসেন সুদীপ।
১৭৫ বলে ১২টি চার এবং একটি ছক্কার সহায়তায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ৮৮ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপের পর প্রথমে অধিনায়ক অভিমন্যুর সঙ্গে ৪৪ রানের পার্টনারশিপ দেন সুদীপ।

অর্ধশতরান করে ৬৫ রান করেন অভিমন্যু এলবিডব্লিউ হন সুশান্ত মিশ্রর বলে। তখন বাংলার রান ছিল ১৩২ রান ১ উইকেটের বিনিময়ে।
এরপরে ব্যাট করতে নামেন অনুষ্টুপ মজুমদার। সুদীপ সিনিয়র ক্রিকেটার অনুষ্টুপকে সঙ্গে নিয়ে বাংলার ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান।
প্রথম দিন শেষে সুদীপের সংগ্রহ ১০৬ রান ও অনুষ্টুপ ৮৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন। অনুষ্টুপ-সুদীপের পার্টনারশিপ ১৭৮ রানের। দিনশেষে বাংলার স্কোর মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান।
দ্বিতীয়দিন স্কোর বোর্ডে রানের অঙ্ক আরও বাড়ানোই টার্গেট থাকবে বঙ্গ ব্রিগেডের। বাংলা এদিন তিন পেসার এবং একজন স্পিনার নিয়ে খেলতে নামে। ঋদ্ধিমান সাহা না খেলায় উইকেটকিপার হিসেবে অভিষেক পোড়েল সুযোগ পান।
প্রথমদিনের শেষে সুদীপ ঘরামি জানালেন,” টিম ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে ওরা আমার উপর আস্থা রেখেছে। দলের দরকারে ভালো খেলতে পেরেছি ভালো লাগলো। ওপেনিংয়ে ভালো রান ওঠায় আমার কাজটা সহজ হয়ে যায়। উইকেট খুব একটা সহজ ছিল এমনটা নয়। দ্বিতীয়দিনে স্কোর বোর্ড সচল রেখে বেশি রান করাই টার্গেট থাকবে আমাদের। তাহলে বোলারদের কাজটা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।”