অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
ওয়াসিম আক্রম পাকিস্তান তথা বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা জোরে বোলার। সুইং অফ সুলতানের মুখোমুখি হওয়া হয়নি বিরাট কোহলির। সেই কারণে সকলের কৌতূহল কিং কোহলিকে কীভাবে থামাতেন সুইং অফ সুলতান ওয়াসিম। এক সাক্ষাৎকারে ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী নায়ক আক্রম জানালেন,“আমি অনেক আত্মবিশ্বাস পেতাম। কারণ বিরাট ৩ বা ৪ নম্বারে ব্যাট করতে আসেন, তার মানে দুই উইকেট পড়ে গেছে। সে ক্রিজে নতুন হলে আমি আক্রমণ করব। বলটি মিডল স্টাম্পের উপর পিচ করা হবে, এবং এটিকে দূরে বা তার দিকে সুইং করবে। যদি এটি কাজ না করে, আমি প্ল্যান বি-তে স্যুইচ করব, যা বাউন্সার বোলিং করবে। ফিল্ডারকে গভীরে রাখতাম এবং তারপরে তাকে ভিতরে ফিরিয়ে আনতাম। এই জায়গা গুলোয় জোর দিতাম।”
এছাড়া আক্রম নিজের ইউটিউব শো তে জানান ১৯৮৪ সালে কীভাবে তিনি অভিষেকের সুযোগ পেয়েছিলেন। তার একটি স্মৃতিও শেয়ার করেছিলেন তিনি। কীভাবে অজানা বোলার আক্রমকে জাভেদ মিয়াদাদ সুযোগ দেন সেই কথা জানিয়ে আক্রম বলেন “জাভেদ ভাই আমাকে বাছাই করেছেন। তারপর যখন আমি দলে আসি, তখন আমি ইমরান খানের সাথে দেখা করি – যেটি ১৯৮৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ছিল। আমি নেটে বোলিং করছিলাম, এবং সেখানেই তিনি আমাকে দেখেছিলেন। তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং তারপর যখন আমি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন দিনের ম্যাচ খেলেছিলাম, সেটা ছিল আমার প্রথম ম্যাচ। রাতে ঘুমাতে পারিনি।”
আক্রমকে সর্বকালের অন্যতম সেরা পেস বোলার এবং ক্রিকেটের সেরা বাঁহাতি পেসার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ১০৪ টেস্ট ম্যাচে ২৩.৬ গড়ে ৪১৪ উইকেট এবং মাত্র ৩৫৬ ম্যাচে ২৩.৫ গড়ে ৫০৩টি ওডিআই উইকেট নিয়েছেন। তিনি প্রায় দুই দশক ধরে ক্রিকেট বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন এবং ১৯৯২ বিশ্বকাপও জিতেছিলেন।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে আক্রমের ক্যাপ্টেন্সিতে পাকিস্তান বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলে, যদিও অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাকিস্তানকে পরাস্ত হতে হয়। পাকিস্তান জাতীয় দলের কোচিংয়ের প্রস্তাব এলেও আক্রম সেই প্রস্তাবে পা বাড়াননি। যদিও ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল অবধি আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের বোলিং কোচ হিসেবে অনেক তরুণ বোলারকে তোলেন আক্রম। তার মধ্যে ভারতের জোরে বোলার মহমদ শামি অন্যতম।