এনএফবি, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
১০৮টি পুরসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। ২৭ শে ফেব্রুয়ারী নির্বাচন। ৯ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ও ১২ ই ফেব্রুয়ারী মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও ছাড় ছাড় দেওয়া হয়েছে এবারের নির্বাচনে। পূর্বে পাবলিক মিটিংয়ের ক্ষেত্রে ২০০ জনকে অনুমতি দেওয়া হতো, সেটা এবার সমস্ত রাজনৈতিক দলের সবার ক্ষেত্রে ৫০০ লোকের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সাইলেন্ট পিরিওড ৭২ ঘন্টা কমিয়ে ৪৮ ঘণ্টা করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল শাসক থেকে বিরোধী সব পক্ষই। ৪৮ ঘণ্টা আগেই তারা প্রচার বন্ধ করে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কমিশন এখনও পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় সাইলেন্ট পিরিয়ড রেখেছে। কলকাতা পুরভোটের ক্ষেত্রেও যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এক্ষেত্রে সেই একই সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রচারের সময় কোভিড পরিস্থিতি মানতে হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের বিধিনিষেধ না মেনেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের সাংগঠনিক কর্মী সম্মেলন হয় এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বাড়ির বলেন,” বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। হিংসার বাতাবরণ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এখনও পর্যন্ত নির্বাচনী প্রেক্ষাপট তৈরি হয়নি, আজকেই নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে। নির্বাচনের যে মিটিং তা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে হবে।” বিজেপি বিধায়ক তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার সভাপতি শান্তনু প্রামানিক কটাক্ষ করে বলেন, “আইনের শাসন চলছে না,রাজ্যে শাসকের আইন চলছে, আইন নিয়ে ছেলে খেলা করছে ওরা। এমনকি একটা পার্ট পুলিশ, তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। পুলিশের দ্বারা তৃণমূল সব রকম দুর্নীতি করে চলেছে। সে ক্ষেত্রে এখানে স্বাস্থ্যবিধি কিছুই মানছে না ওরা, শুধুমাত্র বিজেপির ক্ষেত্রে দেখা হয় কতটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে বিজেপি। তৃণমূলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে পুলিশ কথা বলবে সেই শিরদাঁড়া, সেই মেরুদন্ড পুলিশের নেই। পুরভোট, উপনির্বাচন বা পঞ্চায়েত নির্বাচন সবই পুলিশকে দিয়ে করাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের নেতা বলে কেউ নেই।”
আরও পড়ুনঃ নির্মীয়মান ভবনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৬