জুলাই 8, 2024
Latest:
ক্রীড়া

আখতারকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে লক্ষ্মণকে বোল্ড করেন আসিফ

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

ভারত পাকিস্তান দুই দেশের সিরিজ বন্ধ প্রায় এক দশকের কাছাকাছি হয়ে গেলো। শুধুমাত্র আইসিসি টুর্নামেন্টেই খেলে দুই প্রতিবেশী দেশ। শেষবার ইমরান খানের দেশে রাহুল দ্রাবিড়ের ক্যাপ্টেন্সিতে ভারত ২০০৬ সালে খেলতে যায়। ওয়ান সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে টিম ইন্ডিয়া জিতলেও টেস্ট সিরিজে ভারত ১-০ ব্যবধানে হারে। করাচিতে ইরফান পাঠানের হ্যাটট্রিক সত্ত্বেও ভারতকে হারতে হয়। আর বল হাতে টিম ইন্ডিয়ার সচিন, দ্রাবিড়দের সাধের ব্যাটিং লাইনআপ উড়িয়ে দেন মহম্মদ আসিফ। সেই টেস্ট ম্যাচের স্মৃতিতে গিয়ে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস শোয়েব আখতার জানালেন,“আসিফ যেভাবে ভারতীয় দলকে ফাঁদে ফেলেছিল সেটা অসাধারণ। আমি ওর মতো জাদুকর দেখিনি। প্রথমদিকে আমার ওকে সাধারণ মানের জোরে বোলার মনে হয়। কিন্তু আমার মনে আছে ভারতের বিপক্ষে ২০০৬ টেস্ট ম্যাচে বোলিং করেছিলেন। লক্ষ্মণকে ইনসুইঙ্গার বলে বোল্ড আউট করেন । আমি তাকে বললাম, ‘কি এটা ফ্লুক তো ! এটা একবার বা দুইবার হয়’। ও উত্তর দিয়েছিল ‘আমি তাকে ঠিক একইভাবে পরের ইনিংসে আউট করব’। পরের ইনিংসেও সেটা করলো যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে ওর বলে অতটা সুইং হয়নি। আমার ওকে দেখে ওয়াসিম আক্রমের কথা মনে পড়েছিল।”
এরপরে আখতার জানালেন “আমি যখন সচিন,কে আঘাত করার চেষ্টা করছিলাম, তখন ভারতীয় ব্যাটিং আসিফের নামে মিউজিকের মুখোমুখি হয়েছিল। এমন বোলিং পারফরম্যান্স আমি একবার বা দুবার দেখেছি। ওয়াসিম আক্রম ছাড়া এমন বোলিং আমি কারোর। মধ্যে দেখিনি।”
সেই সিরিজের করাচি তথা তৃতীয় টেস্টে ভারত ৩৪১ রানে পরাজিত হয়ে সিরিজ হারে। তবে ক্রিকেট ভক্তদের কাছে সেই টেস্টটি স্মরণীয়, ইরফান পাঠানের বল হাতে হ্যাটট্রিকের জন্যও। যুবরাজ সিং এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়া সেই টেস্টে কোনো ভারতীয় ব্যাটার পাকিস্তান বোলিং লাইনের সামনে দাঁড়াতে পারেননি।
পাকিস্তান জার্সিতে আসিফের উথ্থান হয় ঝড়ের গতিতে।পাক জার্সিতে ২৩ টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ১০৩ উইকেট নিয়েছেন এই ডান হাতি জোরে বোলার। ৩৮ টি ওয়ান ডে ম্যাচে নিয়েছেন ৪৬ উইকেট এছাড়া ১১ টি টিটোয়েন্টি ম্যাচে ১৩ টি উইকেট নিয়েছেন। যদিও ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন এই পেসার। তারপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হতে হয় তাকে।