জুলাই 5, 2024
Latest:
স্থানীয়

আত্রেয়ী নদীর ভাঙনে বিপর্যস্ত জনজীবন, নিরুত্তাপ প্রশাসন

এনএফবি,বালুরঘাটঃ

আত্রেয়ী নদী ভাঙনে জনজীবনের পাশাপাশি এলাকায় থাকা ফরেস্টের জমি নদীর গর্ভে চলে যাওয়ায় আশঙ্কায় ভুগছে কুমারগঞ্জের বাসিন্দারা। বর্তমানে আত্রেয়ী নদীর জল শুকিয়ে চড় পড়ে নাব্যতা কমে গেছে আবার কখনও ভরা বর্ষায় নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠে তার অগ্রাসী আক্রমণে নদীর পাড় ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে মানুষের ঘর বাড়ি, কৃষি জমি থেকে শুরু করে সরকারি ফরেস্টের জমি। আত্রেয়ীর এই সর্বগ্রাসী রূপের এমনই চিত্র বছর ২৫ ধরে চললেও সেই ভাঙন রোধে কোন ভূমিকাই গ্রহণ করে উঠতে পারেনি জেলা প্রশাসন। অথচ এলাকার বাসিন্দারা থেকে পঞ্চায়েতের তরফে স্থানীয় বিডিও প্রশাসনের নিকট আবেদন জানালেও তাতে কর্ণপাত করেনি কেউ। যার ফলে বর্তমানে আত্রেয়ীর অগ্রাসী ভূমিকায় খোদ আস্ত একটি ফরেস্টের জমি নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

নিজস্ব চিত্র

আত্রেয়ী নদী বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে ৫৮ কিলোমিটার পথ প্রবাহিত হয়ে আবার বাংলাদেশে বয়ে গিয়েছে।কুমারগঞ্জে আত্রেয়ী প্রবেশের আগে নদীর ওপারের দিনাজপুর (বাংলাদেশ) জেলার মোহনপুরে রাবার বাঁধ দিয়ে জল আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ৷ ফলে এপারের নদীতে জল থাকছে না৷ আবার হঠাৎ জল ছাড়লে শুখা মরশুমেও বানভাসি হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। যার ফলে নদীর পাড় ভাঙনের ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই অঞ্চল।
কুমারগঞ্জের বিধায়ক তোরাফ হোসেন মন্ডল কে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি জানান, আত্রেয়ী নদীর ভাঙনে তিনিও উদ্বিগ্ন,তবে এই বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আত্রেয়ী নদী ভাঙন রোধের ব্যবস্থা করবেন। খুব শীঘ্রই এই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করবেন বলে জানান।
এখন দেখার কবে প্রশাসনের উদ্যোগে এই এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করে এলাকার এই ফরেস্ট টিকে আত্রেয়ী নদীর ভাঙন থেকে বাঁচানো সম্ভবপর হয়।