এনএফবি, নিউজ ডেস্কঃ
ছাত্র মৃত্যুতে ফের কাঠগড়ায় পুলিশ। নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আনিস খানের মৃত্যুতে, প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়লো মহানগরীতে। ছাত্র আন্দোলনে আনিস পরিচিত নাম।
শুক্রবার গভীর রাতে গান পয়েন্টে বৃদ্ধ বাবাকে রেখে পুলিশি পরিচয় দিয়ে হাওড়ার আমতার সারদা গ্রামে আনিসের বাড়িতে প্রবেশ করে জনাকয়েক উর্দিধারী ব্যক্তি। এর কিছু পরই তিন তলা থেকে সামনের রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলেকে পড়ে থাকতে দেখতে পান আনিসের বাবা সালাম খান। চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ছেলেকে বাঁচাতে। ছেলের মৃত্যুতে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বৃদ্ধ বাবা সালাম খান। থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। তবে কেন এই খুন তা নিয়ে অন্ধকারে রয়েছে পরিবার।
আনিস আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। নিজের গ্রামে পরোপকারী ও প্রতিবাদী হিসেবেই পরিচিত ছিল সে। তাই এর প্রতিবাদে শনিবার থেকেই দফায় দফায় আন্দোলনে নামেন গ্রামবাসীরা। আনিসের বাবার বক্তব্য অনুযায়ী, একজন খাকি উর্দি ধারী পুলিশ বন্দুক হাতে তাকে একতলায় আটকে রাখে, বাকি তিন জন সিভিক ভলান্টিয়ার বাড়ির উপরে উঠে যায়। এর কিছু পরই উনি ধুপ করে একটি শব্দ পান, সামনের রাস্তায় গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় আনিস পড়ে রয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই শেষ হয় আনিসের জীবন। তিনি বলেন, “যারা এভাবে ছেলেকে খুন করল, তাদের নাম বলতে পারব না। তবে দেখলে চিনিয়ে দিতে পারব।”
আরও পড়ুনঃ অভিযুক্ত এখনও অধরা,ক্ষুব্ধ উদয়ন,এই বছরের সামাজিক সুরক্ষা দিবসের লক্ষ্য নিশ্চিত কর্মসংস্থান
রবিবার আনিসের বাড়িতে যায় বাম ছাত্র যুব নেতৃত্ব। এসএফআই -এর রাজ্য সভাপতি প্রতিকুর রহমান আনিসের বাবার সাথে দেখা করে কথা বলে আমাদের সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এই খুন পুলিশই করেছে। প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর রোধ করতেই এমন নৃশংস খুন বলে তিনি জানান। প্রসঙ্গক্রমে সুদীপ্ত গুপ্ত, মঈদুল এবং আনিস প্রত্যেকেরই মৃত্যুর পিছনে পুলিশি হস্তক্ষেপ রয়েছেও বলেও সরব হন এসএফআই রাজ্য সভাপতি। নিরপেক্ষ তদন্তর দাবিও জানান তারা। রাজ্য যুব কংগ্রেস সহ সভাপতি মাশুকুল ইসলাম শিবলীও আনিস খানের মৃত্যুর নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। আনিসের মৃত্যু ঘিরেও সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
২০২১ সালের মে মাসে নিজের প্রাণ সংশয়ের কথা জানিয়ে আমতা থানায় এক অভিযোগ দায়ের করেছিল আনিস। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল প্রতিবাদী ছাত্র নেতা। বছর না ঘুরতেই প্রাণ গেল তার। কেন, কী কারণে এই খুন! উঠছে নানান প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃআইপ্যাককে নিশানা অধীরের