এনএফবি,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
বংশীহারী ব্লকের এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঠানপাড়া এলাকার ডাক্তারি পড়ুয়া ইউক্রেনে আটকে পড়ায় আতঙ্কে রয়েছে পরিবারসহ গ্রামবাসীরা।
জানাগেছে , ঈশিতা রহমান নামে ঐ ডাক্তারি পড়ুয়া ২০১৫ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে ভর্তি ছিল রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে এবং হাসপাতালের বেডে শুয়ে সমস্ত পরীক্ষা দিতে হয়েছিল অসুস্থ হয়ে যাওয়ার জন্য। তখনই সে প্রতিজ্ঞা নেয় বড় হয়ে ডাক্তারি পড়বে ৷ ২০১৯ সালে নিট পরীক্ষার মাধ্যমে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পান ঈশিতা রহমান। বর্তমানে এই ছাত্রী মেডিকেল ইউনিভার্সিটির তৃতীয় বর্ষে পড়ছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে ঘুরে আসার পর শুনেছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়েছে কিন্তু যুদ্ধ লেগে যাবে কোনোদিন ভাবতে পারেনি সে ৷
ডাক্তারি পড়ুয়া ঈশিতা জানায়, “বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে প্রায় ২০০ ছাত্রী থাকে। যেদিন প্রথম যুদ্ধ শুরু হয় আমাদের হোস্টেলের বেসমেন্টের বাঙ্কারে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। একটা ব্যাগে দুটো পোষাক, কাগজপত্র, জলের বোতল শুধু নিতে পেরেছি আর শুকনো খাবারের সঙ্গে ছিল না । গত ২৪ তারিখ থেকে এভাবেই বেসমেন্টে পড়ে ছিলাম ।খাবার প্রায় শেষ হয়ে গেছে। খাবার কেনার জন্য বাইরে যাবার কোন অনুমতি নেই, কারণ যুদ্ধের জন্য সমস্ত দোকান বাজার বন্ধ। তবে যুদ্ধ লাগার চারদিনের মাথায় ইউক্রেন পুলিশ আমাদের ভীষণভাবে সহযোগিতা করেছে এবং বর্তমানে আমরা ইউক্রেনে পুলিশের সহযোগিতায় হাঙ্গেরির ভারতীয় দূতাবাসে রয়েছি। শুধুমাত্র দিন গুনছি কবে ইউক্রেন থেকে কবে নিজের দেশে ফিরে যাব।”