জুলাই 3, 2024
Latest:
ক্রীড়া

আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর হতে প্রস্তুত বসুন্ধরা

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

বাতাসে বইছে প্রেম বসন্ত এসে গেছেI ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শ্রী সিমেন্টসের সঙ্গে একপ্রকার বিচ্ছেদ হওয়ার পরে এই গান শতবর্ষ প্রাচীন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের রিং টোন হওয়া উচিত। বৃহস্পতিবার লাল হলুদ ক্লাব লন এপার বাংলা আর ওপার বাংলার গানে মেতে উঠল। একইসঙ্গে বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা স্পোর্টিং ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে জড়াতে লাল হলুদ ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়। আগামীদিনে একসঙ্গে পথ চলার বার্তা দেয় একে অন্যকে। বসুন্ধরা ক্লাবের প্রতিনিধিদের ক্লাবে ঢোকার মুখে বরণ করে নেন লাল হলুদ কর্তারা। এরপরে তাঁদের পুরো ক্লাব ঘুরিয়ে দেখান ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। অনুষ্ঠান শুরু হলো ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান ও অভিরূপ সেনগুপ্তর নাচের মাধ্যমে। বসুন্ধরার চেয়ারম্যানের সঙ্গে জুড়লো লাল হলুদ।
বাংলাদেশের শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের চেয়ারম্যান তথা বসুন্ধরা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সায়েম সোবহানকে আজ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে সম্মানিক আজীবন সদস্য পদ প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা এই অনুষ্ঠানে সায়েম সোবহানের সাথে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী সাবরিনা সোবহান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ সভাপতি মহম্মদ ইমরুল হাসান এবং বাংলাদেশের আরও অনেক ফুটবল সমর্থক।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সচিব কল্যাণ মজুমদার আবেগঘন কন্ঠে সবাইকে স্বাগত জানান। এআইএফএফের সহ সভাপতি সুব্রত দত্ত এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ সভাপতি দুজনেই তাঁদের বক্তব্যে দুই বাংলার জনপ্রিয়তার কথা তুলে ধরেন।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার জানান, “এক সময় দুই বাংলা এক ছিল এবং শিল্প, সাহিত্য, খেলাধুলা এবং জীবনাদর্শে সারা পৃথিবীর সামনে উজ্জ্বল হয়েছিল। কোনো এক অজানা দেওয়ালের কারণে আমাদের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ সেই একই রকম রয়েছে। আজ সেই হৃদয়ের টানেই দুই বাংলার আবার এক সাথে চলা প্রয়োজন। সোবহান ভাই এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাব মিলিত ভাবে দুই বাংলার সমন্বয়ের কাজ করতে পারে।”

সায়েম সোবহান তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন,”ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কে নিজের ক্লাব বলেই সবসময় ভেবেছি। তাই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে যখন আমন্ত্রণ আসে তখন আর ‘না’ বলিনি। আর আজকের এই অনুষ্ঠানে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব যেভাবে হৃদয় দিয়ে আমাদের কাছে টেনে নিয়েছেন, আমরাও চাই দুই বাংলার ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ ও সাধারণ মানুষ আগামী ভবিষ্যতে আরও কাছাকাছি আসতে পারে। আমরা আন্তরিক ভাবে এই কাজে সচেষ্ট হব। ওদের আমাদের দেশে ফুটবল খেলতে যেতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।” ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে কি পরের আইএসএলে খেলতে আমন্ত্রণ জানাবেন? উত্তরে বসুন্ধরার এমডি জানান, “কেন নয়! ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে যে কোনো বিষয়ে সাহায্য করতে পারলে ভালো লাগবে। আমরা ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত হতে চাই।”

বসুন্ধরা আগামী আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর হচ্ছে সেটা একদমই নিশ্চিত। এদিন বসুন্ধরার ক্লাবের বাকি কর্তাদের সঙ্গে লাল হলুদ কর্তারা ভার্চুয়াল আলোচনা সেরে নেবেন। এরপরে শ্রী সিমেন্টসের কাছে স্পোর্টিং রাইটস নিতে আবেদন করবেন ক্লাব কর্তারা।