জুলাই 5, 2024
Latest:
জেলাফিচার

কোচবিহারে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৌচাষের প্রশিক্ষণ শিবির

এনএফবি, কোচবিহারঃ

কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৌমাছি প্রতিপালনে মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হল কোচবিহার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। এই প্রশিক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন, দক্ষিণ দিনাজপুর কেবিকের আধিকারিক ডঃ সিবানন্দ সিংহ, উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক ডঃ নৃপেণ লস্কর, ডঃ সুরজ সরকার প্রমুখ। মৌমাছি পালনের মধ্য দিয়ে বেকার যুবক যুবতীদের কর্ম সংস্থানের এক সুযোগ করা যাবে বলে জানানো হয়। পাশাপশি পরাগ সংযোগের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়, তাছাড়াও মোম ও মধুর মত দ্রব্যও এই মৌমাছি থেকে পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিকেরা।
ফসলের পরাগ মিলনে মৌমাছির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পৃথিবীতে মৌমাছি না থাকলে খাদ্যের তীব্র সংকট হবে এটা কারোরই অজানা নয়। পাশাপাশি অর্থকরী উপাদান হিসেবে মোম ও মধুর ভূমিকাও কম নয়। তাই জেলা জুড়ে ব্যাপকভাবে মৌমাছির সংরক্ষণ ও প্রতিপালনের দিকে নজর দিচ্ছে কোচবিহার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র। প্রত্যেক মাসে অন্তত দুবার করে থাকছে অনলাইন ও অফলাইনে মৌমাছি পালনের প্রশিক্ষণ। কৃষি বিজ্ঞানী ডক্টর সুরজ সরকারের তত্ত্বাবধানে এই প্রশিক্ষণ চলছে। প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণের পর তাদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে মৌ বাক্স ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও আর্থিক সাহায্য।


রাজ্যের অন্যান্য কিছু জেলায় যেমন, বালুরঘাট, মালদা, নদিয়াতে মৌমাছি পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কিন্তু সেই তুলনায় কোচবিহার জেলা জুড়ে এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষ হাতে গোনা। তাই এই কাজে মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে কোচবিহার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। বেশি মধু ও মোম উৎপাদনে সক্ষম ইটালিয়ান প্রজাতি “এপিস মেলিফেরা” মৌমাছি দিয়ে এই প্রশিক্ষণ করানো হচ্ছে। আর এই চাষে মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে প্রাথমিক মূলধন ও প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করা হচ্ছে জাতীয় মৌমাছি পর্ষদ থেকে।
কোচবিহার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানী ডঃ সুরজ সরকার জানান, “আমরা জেলা জুড়ে মৌমাছি সংরক্ষণ ও প্রতিপালনের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছি। সারা রাজ্যের কৃষকেরা নিজেদের ফার্মার্স প্রোডিউসার কোম্পানি (এফপিসি) র ছত্রছায়ায় নিয়ে এসেছেন। মৌমাছি পালন কেও যদি একই ভাবে কোনো এফপিসি র নিয়ন্ত্রণাধীন করে ব্যাপক ভাবে চাষ করা যায়, তবে সেটা পরাগ মিলনের মাধ্যমে কৃষিতে ব্যাপক উন্নতি করবে ও বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের পথও তৈরি হবে।” পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, “এই পদ্ধতিতে কৃষি জমির পাশে মৌমাছির বাক্স রেখে দিলে ফসলের উৎপাদন ক্ষমতা ২.৫ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব।”