ইস্টবেঙ্গলের আগে কারোর নাম চান না ভাস্কর, অলোকরা
অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
কলকাতা ময়দান উত্তাল, মোহনবাগানের আগে এটিকে নাম নিয়ে সরব কলকাতা ময়দান। এএফসি কাপেই মোহনবাগান সমর্থকরা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে তারা কর্মচারী নয় তাঁদের আবেগ কিনতে পারবেন না এটিকে ম্যানেজমেন্ট। আর পড়শি ক্লাবকে দেখে শিক্ষা নিয়েই ইস্টবেঙ্গলের নামের আগে এমন কিছু চান না লাল হলুদের প্রাক্তন ফুটবলাররা। এদিন কলকাতা লিগ ও ডুরান্ড কাপের জন্য বাংলার ফুটবলারদের নির্বাচন করে কর্তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন লাল হলুদের প্রাক্তন ফুটবলাররা। এদিন যেমন লাল হলুদের ঘরের ছেলে প্রাক্তন ফুটবলার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, “সত্যি বলতে আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই না ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের আগে কারোর নাম থাকুক। এখন মনে হতে পারে আগে তো কিংফিসার ছিল। কথাটা ঠিক। কিন্তু কিংফিসারের মানসিকতা আর এখনকার সময়ে যারা ফুটবল চালাতে আসছে তাঁদের মানসিকতা এক নয়। এরা ব্যবসা বোঝে শুধু সমর্থকদের আবেগ কী সেই জিনিসটা বোঝে না। তবে আমি বলবো যা হয়ে গেছে সেটা হয়ে গেছে । আমাদের এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত। কী হয়েছে ভুলে গিয়ে কী হতে পারে সেটা নিয়ে ভাবা উচিত।” এদিন আবার লাল হলুদ প্রাক্তন ফুটবলার অলোক মুখোপাধ্যায় জানালেন, “দুটো ক্লাবের আবেগ যেভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে বিষয়টা মোটেও ভালো নয়। আশা করছি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ভেবে দেখবেন ক্লাবের সমর্থকদের আবেগ নিয়ে কোনো আপোষ করবেন না দলগঠনে নিজেদের মতামত শক্ত করবেন।” এদিকে লাল হলুদ শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানালেন, “আমরা কিন্তু ক্লাবের ঐতিহ্য নিয়ে কোনোদিন কোনো আপোষ করিনি, এবারও করব না। কিন্তু বুঝতে হবে কিংফিশার থাকার সময় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শেয়ার ছিল পঞ্চাশ আর এখন নতুন ইনভেস্টর এলে আইএসএল খেলার বিপুল অর্থতে সেটা কুড়ি শতাংশ হয়ে যাচ্ছে। অন্য কোম্পানির নাম থাকুক। কিংফিসার ছিলর কোয়েস ছিল, শ্ৰী সিমেন্টস ছিল । আমরা সহযোগিতা করেছি যেমন তেমনই নিজেদের ইতিহাস বিকিয়ে যেতে দিইনি, আমাদের ক্লাবের ইতিহাস বিকিয়ে যায়নি। আমরাই প্রাক্তন ফুটবলারদের সম্মান দিই ক্লাবের ভালোর জন্য মতামত নিই। কোনো ক্লাব সেটা করে না।” এদিন মেহেতাব হুসেন, রহিম নবি, সুমিত মুখোপাধ্যায়, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় ইস্টবেঙ্গল গ্যালারি ঘুরে দেখে ডুব দিয়ে গেলেন অতীতের নস্টালজিয়াতে।
![](https://newsfrontbangla.com/wp-content/uploads/2022/04/WhatsApp-Image-2022-04-13-at-8.36.43-PM-1024x575.jpeg)