এনএফবি ডেস্ক, ইসলামাবাদঃ
মধ্যরাতে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নাটকীয় মোড়। আস্থা ভোটের আগেই বড়সড় ধাক্কা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan)। বিপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করে নিল সরকারের সহকারী দল।
মঙ্গলবার রাতে শাসক দল তেহরিক ই ইনসাফ তথা পিটিআই সরকারের অন্যতম শরিক দল মুত্তাহিদা কাওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম-পি) বিরোধী শিবিরে যোগ দিয়েছে। পাক প্রথমসারির সংবাদপত্র দ্য ডনের প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশিত। ফলে বেকায়দায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাক সংসদে আগামী ৪ এপ্রিল অনাস্থা ভোট রয়েছে। এমকিউএম-পি বিরোধী শিবিরের সঙ্গে হাত মেলানোয় সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে এই মুহূর্তে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল ইমরান খানের দল। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ প্রকট হচ্ছে।
পাক সংসদের বিরোধী দলনেতা তথা পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো এ দিন টুইটে এমকিউএম-পি এর বিরোধী শিবিরে যোগদানের কথা ঘোষণা করেছেন। জানিয়েছেন যে,বিরোধী জোটের সমন্বয় কমিটির অনুমোদনের পরেই এমকিউএম-পি তাদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। টুইটে ভুট্টো লিখেছেন, ‘বিরোধী জোটের সব দল ও এমকিউএম-পি একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে।
অর্থনৈতিক সংকট ও মুদ্রাস্ফিতীতে জর্জরিত পাকিস্তান। দৈনতা ক্রমশ বাড়ছে। এই অবস্থার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নেতৃত্বাধীন তেহরি ই ইনসাফ সরকারকে দায়ী করেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। গত ৮ মার্চ পাক সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী জোট। যার প্রেক্ষিতে আগামী ৪ এপ্রিল ভোটাভুটি হবে। ক্ষমতায় থাকতে হলে ওই ভোটে পাক সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন যে তাঁর দিকেই রয়েছে, তার প্রমাণ দিতে হবে ইমরান খানকে।
৩৪২ আসনের পাক সংসদে সরকারে থাকতে ইমরান খানের প্রয়োজন ১৭২ জন সাংসদের সমর্থন। এতদিন তেহরিক ই ইনসাফ সরকারের সঙ্গে ১৭৯ জন সাংসদের সমর্থন ছিল। কিন্তু এমকিউএম-পি শিবির বদল করায় ইমরান সরকারের শক্তি কমে দাঁড়াচ্ছে ১৬৪-তে। অন্যদিকে এমকিউএম-পি সাংসদের ভোট বিরোধীদের দিকে পড়লে পিপিপি নেতৃত্বাধীন জোটের আসন পৌঁছবে ১৭৭-এ। ফলে বিরাট অঘটন না ঘটলে ইমরান খানের ক্ষমতা হারানো কার্যত সময়ের অপেক্ষা মাত্র।