করোনার ঢেউ কাটিয়ে বর্গভীমা মন্দিরে চলছে বিপত্তারিণী পুজো
এনএফবি,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর এই বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে বিপত্তারিণী পুজোকে ঘিরে যথেষ্ট উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায় সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে বর্গভীমা মন্দিরে চলছে বিপত্তারিণী পুজো। মূলত শনি এবং মঙ্গলবার ধরে এই পূজা হয়ে আসে, ১৩ রকম ফুল, ১৩ রকম ফল, ১৩টি পান, ১৩টি সুপারি এবং ১৩ গাছা লাল সুতোতে ১৩ গাছা দূর্বা দিয়ে ১৩টি গিঁট বেঁধে ধাগা তৈরি করতে হয়। ব্রাহ্মণ দ্বারা আম্রপল্লব-সহ ঘট স্থাপন করে নাম গোত্র সহযোগে পুজা দেয় বাঙালি মেয়েরা। পুজোর পরে শোনা হয় বিপত্তারিণীর ব্রতকথা। যা এই পুজোর অন্যতম অঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে হিন্দু দেবী রূপে পুজিত হন এই দেবী। সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ এবং দেবী দুর্গা ১০৮ অবতারের মধ্যে অন্যতম এই দেবী। কথিত আছে বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই দেবীর পুজো করা হয়ে থাকে। লাল সুতোর ধাগা পুরুষদের ডান এবং মহিলাদের বাম হাতে ধারণ করা এই পুজোর নিয়ম। বিপত্তারিণী ব্রত সাধারাণত মহিলাদের ব্রত। এই ব্রত কমপক্ষে ৩ বছর পালন করা নিয়ম রয়েছে।
![](https://newsfrontbangla.com/wp-content/uploads/2022/07/IMG-20220702-WA0006-1024x563.jpg)
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে ঐতিহ্য প্রাচীন ইতিহাস বিজড়িত বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে দেখা গেল বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে ভক্তদের আনাগোনা। মন্দিরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় রাস্তার ধারে পুজো উপলক্ষে উলের তৈরি বিভিন্ন ধরনের ডুরি অথবা ধাগা বিক্রি করতে দেখা যায় দোকানদারদের। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় রাজ্য সরকার রাজ্যের সমস্ত তীর্থস্থানের দরজা খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে ভক্তদের জন্য। তবে করোনা কাটিয়ে সকাল থেকে এবছর মন্দিরে পুূর্ণার্থীদের ঢল নেমেছে আজ বিপত্তারিনী পুজো উপলক্ষে তমলুকের প্রাচীন বর্গভীমা মন্দিরের।
![](https://newsfrontbangla.com/wp-content/uploads/2022/07/IMG-20220702-WA0007-1024x563.jpg)