অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
ফের বিস্ফোরক ঋদ্ধিমান সাহা। সাংবাদিক বোরিয়া মজুমদার তাকে হুমকি দিয়েছিলেন সেই ইস্যুতে ঋদ্ধি জানালেন,”আমি দেখাতে চেয়েছিলাম যে একটা সাক্ষাৎকারের জন্য এক জন সাংবাদিক কতটা নীচে নামতে পারে। পরে জানতে পেরেছি যে উনি আগেও এ রকম কাজ করেছেন। তাই জন্যে বোর্ড ওকে শাস্তি দিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলাম বলে প্রথম দিকে এ নিয়ে কোনও কথা বলিনি।”
ঘটনার পরেও ওই সাংবাদিকের মধ্যে কোনও আক্ষেপ ছিল না দেখে আরও বিস্মিত হন ঋদ্ধিমান। সে কারণেই স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে এনেছেন বলে জানিয়েছেন ঋদ্ধিমান। তাঁর কথায়, “প্রথমত, আমি এটা নিয়ে মুখ খুলতে চাইনি। আমাদের মতো বাকিদেরও তো নিজেদের কেরিয়ার রয়েছে। তবে উল্টো দিকের মানুষটার যদি কোনও আক্ষেপ না থাকে, তা হলে কত দিন চুপ করে থাকব?”
ঋদ্ধির আপলোড করা স্ক্রিনশটে যা ছিলঃ
বোরিয়া ঋদ্ধিকে মেসেজ করে জানান, ”আমার সঙ্গে একটা ইন্টারভিউ কর। (তোমার জন্য) ভালো হবে।” এক মিনিট পরেই আরও একটি মেসেজ এসেছে। তাতে বলা হয়, ”ওরা (বোর্ড) একজন উইকেটকিপার বেছে নিয়েছে, যে সেরা উইকেটকিপার। তুমি ১১ জন সাংবাদিককে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছ, যারা আমার কাছে সেরা নয়। এমন কাউকে বেছে নাও, যে তোমায় সবথেকে বেশি সাহায্য করতে পারবে।” রাত ১০ টা ৪৩ মিনিটের একটি মেসেজে বলা হয়, ”তুমি ফোন করলে না। আমি কখনও তোমার ইন্টারভিউ নেব না। আমি একেবারে সহজে অপমান মেনে নিই না এবং এটা আমি মনে রাখব। এটা তোমার করা উচিত হয়নি।”
এরপরে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় করা এক পোস্টে নিজেই সেই মেসেজ পাঠানোর কথা স্বীকার করেন বোরিয়া। তবে ঋদ্ধিমানের বিরুদ্ধে তাঁর মেসেজের দিনক্ষণ বদলে তাঁর বিরুদ্ধে অযাচিত আরোপ লাগানোর পাল্টা অভিযোগ জানান বোরিয়া। বোরিয়ার অভিযোগ ছিল, তিনি ঋদ্ধিমানকে ১৩ ফেব্রুয়ারি মেসেজ করেছিলেন, যেটা ঋদ্ধি তাঁর ছয়দিন পর ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর আপলোড করেন। ঋদ্ধিকে ফোন করার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বোরিয়া দাবি করেন, ১৩ ফেব্রুয়ারির পরে তিনি ঋদ্ধির সঙ্গে আর কোনওরকম যোগাযোগ করার চেষ্টাও করেননি। পাশাপাশি ঋদ্ধিকে পালটা তোপ দেগে তিনি অভিযোগ করেন, স্রেফ সহানুভূতি কুড়ানোর জন্যই এই মেসেজ এতদিন পরে আপলোড করেছেন পাপালি। বোরিয়ার দাবি, ঋদ্ধির তাঁকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা থাকলেও তা তিনি দেননি। এই আবহে তিনি রেগে গিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটারকে মেসেজ করেছিলেন। সেইসঙ্গে ঋদ্ধির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করারও হুমকি দেন বোরিয়া। যদিও বোরিয়াকে দুই বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠায় বোর্ড।