অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
যুবভারতীতে এশিয়ান কাপ কোয়ালিফাইয়ের তিনটে ম্যাচ জিতেই মূলপর্বে পৌঁছাল ভারত। হংকংয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেই জানা গিয়েছিল যে, ভারত মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে। তা সত্ত্বেও ব্লু টাইগার্সদের জয়ের খিদেতে এতটুকু ভাটা পড়েনি। ৪-০ ব্যবধানে হংকংয়ের বিরুদ্ধে জয় তুলে নেয় ইগর স্টিমাচের দল।
কোয়ালিফায়ারের প্রথম দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও গোল আসে অধিনায়ক সুনীলের পা থেকে। সদ্যই আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজের ১৭তম বছর সম্পূর্ণ করেছেন সুনীল ছেত্রী। তবে বয়স বাড়লেও, তাঁর গোল করার খিদেতে এতটুকুও ভাটা পড়েনি। এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারে লাগাতার তৃতীয় ম্যাচে ভারতের হয়ে গোল করলেন সুনীল। পাশাপাশি নিজের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ৮৪তম গোলটি করে ফেলেন তিনি। এই গোলের সুবাদেই কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাসের আন্তর্জাতিক গোলের রেকর্ডে ভাগ বসান তিনি। এখনও খেলা চালিয়ে যাওয়া ফুটবলারদের মধ্যে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও লিওনেল মেসির পর তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা সুনীল। সর্বকালীন লিস্টে যুগ্মভাবে পঞ্চম সর্বোচ্চ।
তবে পুসকাসের রেকর্ডে ভাগ বসিয়ে দেওয়া নিয়ে ভাবতে নারাজ ভারতীয় অধিনায়ক। হংকং ম্যাচের পর তিনি বলেন, “অনুভূতিটা খারাপ নয়, তবে নিজের কাজটা করে যেতে হবে। সত্যি বলতে গেলে এই সব রেকর্ড নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র মাথা ব্যথা নেই। আমি নিজের কেরিয়ারের শেষের দিকে রয়েছি এবং এই সময় খেলাটা উপভোগ করতেই বেশি আগ্রহী। মাঠে নেমে নিজের সেরাটা দেওয়া এবং প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করাই আমার আসল লক্ষ্য।”
গত ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল করেছিলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। পাশাপাশি পরিবর্ত হিসাবে নেমে ইশান পন্ডিতও গোল পেয়েছে। ম্যাচের পর তরুণদের প্রশংসায় ভরিয়ে সুনীল বলেন, “বাচ্চাগুলো দারুণ। ওরা হয়তো ওদের বাচ্চা বলায় আমায় মেরে ফেলবে। ঠিকভাবে বলতে গেলে ছেলেগুলো দারুণ। আমাদের সাজঘরে সিনিয়র এবং জুনিয়র খেলোয়াড়দের সঠিক ভারসাম্য এনেছে।”এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ভারত এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলবে। যা এর আগে কখনও হয়নি এবং এই ঘটনা ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে। ২০১৯-এও এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলেছিল ভারত।
এ দিন যুবভারতীর ভরা গ্যালারির সামনে আক্রমণের ঝড় বইয়ে দেন সুনীল ছেত্রীরা। গোলের ফোয়ারাও ছোটান। যত সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে, তার অর্ধেকও যদি কাজে লাগাতে পারতেন ভারতীয়রা, তা হলে হয়তো আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত ভারত।