ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটির উদ্যোগে বিজ্ঞান বিষয়ক সচেতনতা শিবিরের আয়োজন

সঞ্চারী সাহা, এনএফবিঃ

কুসংস্কারমুক্ত বৈজ্ঞানিক সমাজ এবং পড়ুয়াদের মধ্যে যুক্তিবাদী মনন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি, কলকাতা চ্যাপ্টারের উদ্যোগে এক বিজ্ঞান বিষয়ক সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয় ৷ আজ দক্ষিণ কলকাতার যোগমায়া দেবী কলেজে এবং উত্তর কলকাতার মহারাণী কাশীশ্বরী কলেজে এই শিবিরের আয়োজন করা হয়।

এই সচেতনা শিবিরে স্কুলের পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে ‘হাতে-কলমে বিজ্ঞান শিক্ষার কর্মশালা’, বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান বিষয়ক মডেল প্রদর্শনী, সেমিনার, কুসংস্কারবিরোধী জনসচেতনতা মূলক প্রদর্শনী এবং ডকুমেন্টারি প্রর্দশ্রনী প্রভৃতি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, এই দুটি জায়গায় কলকাতার বিভিন্ন স্কুল থেকে প্রায় ৫০০ জন পড়ুয়া বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও শিক্ষক, শিক্ষিকা, অভিভাবক, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, গবেষক ও বিজ্ঞান অনুরাগী অসংখ্য মানুষ উপস্থিত ছিলেন এই সচেতনতা শিবিরে ।

যোগামায়া দেবী কলেজে বিজ্ঞান শিবির

উত্তর কলকাতার মহারাণী কাশীশ্বরী কলেজে বিজ্ঞান শিবিরের শুরুতে “ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেম- অন্ধ চিন্তা প্রসারের নতুন ধুম্রজাল” এই বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখেন INSA-র বিজ্ঞানী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও IISER কলকাতার প্রাক্তন অধ্যাপক এবং ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সভাপতি অধ্যাপক অমিতাভ দত্ত এবং আসানসোল কলেজের অধ্যাপক ও সংগঠনের সর্বভারতীয় শাখার অফিস সম্পাদক ড. তপন কুমার শী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটির কলকাতা শাখার যুগ্ম-সম্পাদক ড. নির্মল দুয়ারী।

মহারাণী কাশীশ্বরী কলেজে বিজ্ঞান শিবির

দক্ষিণ কলকাতার যোগামায়া দেবী কলেজে বিজ্ঞান শিবিরের শুরুতে “ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেম- অন্ধ চিন্তা প্রসারের নতুন ধুম্রজাল” এই বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখেন সরিষা শিশুরাম দাস কলেজের অধ্যক্ষ এবং ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির কার্যকরী সভাপতি ড. নীলেশ মাইতি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপিকা ও সংগঠনের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ডঃ সরিফা খাতুন, সংগঠনের কলকাতা জেলা চ্যাপ্টারের যুগ্ম সম্পাদক ডঃ শুভ্রপ্রকাশ কাজলী ও রাজ্য কমিটির কার্যকরী সদস্য শ্রীমা পন্ডা প্রমুখ। সর্বোপরি এই ধরণের জনসচেতনতা মূলক উদ্যোগ ভবিষ্যতে বিজ্ঞানের কার্যকরী প্রয়োগে যে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করবে সেই বিষয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই ৷