জুলাই 3, 2024
Latest:
ক্রীড়া

১৯৮৩ জয়ের স্মৃতিতে গিয়ে ফিটনেস নিয়ে বড় কথা বললেন চিকা

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

২৫ জুন ১৯৮৩ ভারতীয় ক্রিকেটে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারত বিশ্বকাপ জয় করে, যা ভারতীয় ক্রিকেটের নবজাগরণ ঘটায়। কোনো কোচ না থেকে ম্যানেজার মান সিংয়ের অধীনে ভারত ক্লাইভ লয়েডের বিশ্বসেরা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পরাস্ত করে। এবার সেই স্মৃতিতে গিয়ে মান সিংয়ের প্রসঙ্গ তুলে কপিলের বিশ্বকাপ জয়ী দলের ওপেনার কৃষ্ণামাচারি শ্রীকান্ত বললেন,”একজন কোচকে কৌশলী হতে হবে। একটা ভালো ব্যাপার হল (তখন) আমাদের কোচ ছিল না, আমাদের কিছুই ছিল না। পিআর মান সিং (ম্যানেজার) ক্রিকেটের এবিসি জানতেন না, এবং এটি অনেক সাহায্য করেছিল। সুতরাং, একটি ভাল জিনিস হল, কারও কাছ থেকে কোনও চাপ ছিল না।” শ্রীকান্ত ফাইনালে চারজন ক্যারিবিয়ান জোরে বোলারের বিরুদ্ধে ৩৮ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন। এরপরে ফিটনেস প্রসঙ্গতে ভারতের প্রাক্তন বিস্ফোরক ওপেনার জানান,” আমরা ব্যায়াম বা ফিটনেস ট্রেনিং করিনি। আমি আর সন্দীপ পাটিল আমাদের পুরো কেরিয়ারে করিনি। আমি জীবনে সুনীল গাভাসকারকে ব্যায়াম বা ফিটনেস ট্রেনিং করতে দেখিনি। গাভাসকার তো ম্যাচের আগে ব্যাটেই হাত দিত না। কত রান করেছে ও। পুরো ব্যাপারটাই মানসিকতার উপর নির্ভর করে। মহিন্দর অমরনাথ যেমন ফিটনেস নিয়ে সচেতন ছিল। আজও আমি সবচেয়ে অলস মানুষ। আমার বয়স এখন ৬২। এখনও আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমার লড়াই হয়। ও আমাকে বলে নিয়মিত হাঁটতে আমি সবসময় ওকে বলি আমি এমনিতেই ফিট মানুষ।”

ক্রিকেট থেকে অবসরের পর ধারাভাষ্য দেওয়ার পাশাপাশি তিনি জাতীয় দলের নির্বাচক ছিলেন। এছাড়া আইপিএল-এ চেন্নাই সুপার কিংস ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি ক্রিকেট বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসেডর হন।

১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপের আগে মাত্র ৪০টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ বিশ্বকাপ মিলিয়ে মাত্র দুটি ম্যাচ জিততে পেরেছিল মেন ইন ব্লু। অন্যদিকে ৮-৯ বছরে ৫২টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলে ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তার মধ্যে ৩৮টি ম্যাচে জয় হাসিল করেছিল ক্যারিবিয়ানরা। পরপর প্রথম দুটি বিশ্বকাপ জয়ও ছিল তাদের পকেটে। লর্ডসে ১৯৮৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে সুযোগ পেয়ে ফাইনালে শুরুতেই গাভাসকরকে হারায় ভারত। মাত্র ২ রান আউট হয়েছিলেন লিটল মাস্টার। অপর ওপেনার কৃষ্ণামাচারি শ্রীকান্ত ৫৭ বলে ৩৮ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। মহিন্দর অমরনাথ তিন নম্বরে নেমে ২৬ রানের দামি ইনিংস খেলেছিলেন। সন্দীপ পাতিল ২৭, কপিল দেব ১৫ ও মদন লালের সংগ্রহ ছিল মাত্র ১৭ রান। সব মিলিয়ে ১৮৩ রান তুলেছিল ভারত। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪০ রানে অলআউট করে ভারত ৪৩ রানে ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ ট্রফি জিতেছিল। ফাইনালে ভারতের হয়ে মদন লাল ও মহিন্দর অমরনাথ ৩টি করে উইকেট পেয়েছিলেন। বলবিন্দর সাধু ২টি ও কপিল দেব-রজার বিনি একটি করে উইকেট নেন।

আরও পড়ুনঃ স্ত্রীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা ঋদ্ধির – NF Bangla Private Limited (newsfrontbangla.com)