কোচবিহারের ৫ পুরসভায় শুরু ভোট গণনা

এনএফবি, কোচবিহারঃ

মিটেছে ভোট পর্ব। যদিও তারপরেও বিন্দু মাত্র কমেনি রাজনৈতিক উত্তেজনা। এমতাবস্থায় আজ রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ভোটের ফল বের হতে চলছে। তা নিয়েই উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল।ইতিমধ্যেই ভোট গণনার জন্য তৈরি স্ট্রং রুম গুলিতে ব্যাপক পুলিশি নজরদারি চোখে পড়েছে।

সেই অনুযায়ী, কোচবিহার জেলায় ৬টি পুরসভায় মধ্যে ৫টিতে ভোট গণনা। দিনহাটা পুরসভা বাদে কোচবিহার পুরসভা, তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙ্গা, মেখলীগঞ্জ, হলদিবাড়ি এই পাঁচটি পুরসভায় ভোট গণনা শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়।

এ দিন সকাল সকাল প্রার্থীরা সকলে একে একে গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে দেখা যাচ্ছে। কার পাল্লা আজ ভারী হবে তা নিয়ে সকাল থেকে রাজনৈতিক দল গুলো উত্তেজনার পারদ চরমে।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলার ৫ পুরসভায় গণনা হবে। কোচবিহার পুরসভার গণনা কেন্দ্র হলো মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ হাই স্কুলের। এই পুরসভায় ২০টি ওয়ার্ড রয়েছে। তাদের গণনা হবে ৪ রাউন্ডে ২১ টি টেবিলে। তুফানগঞ্জ পুরসভার গণনা কেন্দ্র এসডিও অফিসে। সেখানে ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। তাদের ভোট গণনা হবে ৪ রাউন্ডে ৭টি টেবিলে। মাথাভাঙ্গা পুরসভার ভোট গণনা কেন্দ্র ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে। সেখানে ৩ রাউন্ডে ৭টেবিলে ভোট গণনা করা হবে। এই পুরসভায় ১২ টি ওয়ার্ড। সেখানে ১০ টিতে ভোট হয়েছে। ২ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। প্রথম রাউন্ডে তিনটি ওয়ার্ডে ভোট গণনা হবে (১,২,৩ নং ওয়ার্ড), ২ রাউন্ডে গণনা হবে পরের তিনটি ওয়ার্ডে ( ৪,৫,৬ ওয়ার্ড)। তৃতীয় রাউন্ড গণনা হবে বাকি সব ওয়ার্ডে।
এছাড়াও মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি পুরসভায় ভোট গণনা কেন্দ্র হলো এসডিও অফিসে। তাদের গণনা ২ রাউন্ডে। ৫ ও ৬ টি টেবিলে।

এদিন কোচবিহার জেলার ৫টি পুরসভার ভোটের ফলাফল ঘোষিত হতে চলেছে। তার আগে জেলার প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট আঁটোসাঁটো করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

একদিকে গণনা কেন্দ্রের বাইরে যেমন রয়েছে পুলিশের টহলদারি। অন্যদিকে গণনা কেন্দ্রের প্রবেশ পথে নিরাপত্তার দায়িত্বে তেমনই রয়েছে পুলিশের সশস্ত্র কর্মীরা। শুধু তাই নয়, স্ট্রং-রুম পাহারার দায়িত্বও বর্তেছে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র কর্মীদের উপর। সেইসঙ্গে রয়েছে সিসিটিভির নজরদারিও। প্রত্যেক গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন
ফলে, নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি দিয়ে স্ট্রংরুমের ধারে কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকেই। সুষ্ঠুভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণার দায়িত্ব এখন রাজ্য পুলিশের উপরেই। তাই নিরাপত্তায় কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না জেলা প্রশাসনও।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভার নির্বাচনে কার্যত ঘাসফুল ঝড় দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এমতবাস্থায় জেলায় জেলায় পুরভোটে ১০৮ আসনে দাপট কারা ধরে রাখে সেদিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। তবে পাল্লাভারী যে মমতা ব্রিগেডেরই তা বলাই বাহুল্য।