রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ আদালতের

এনএফবি, কোচবিহারঃ

মেয়ের শিক্ষকতার চাকরি পাওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের জেরে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে আজ রাতের মধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয়, তাঁকে যাতে আর মন্ত্রী পদে না রাখা হয় সেজন্যও রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে সুপারিশ করা হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, কলকাতা ও রাজ্য পুলিশে ভরসা আছে, বিশ্বাস করি, তাঁদের হাত না বাধলে তাঁরা সঠিক তদন্তে দক্ষ।

উল্লেখ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় তপশিলী জাতিভুক্তদের মেধা তালিকায় প্রথমে নাম ছিল ববিতা বর্মনের। অথচ পরবর্তীতে এসএসসি-র ওয়েবসাইটে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তফসিলি জাতিভুক্তদের তালিকায় ববিতার নাম চলে যায় দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম স্থানে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম জায়গা পায়। অভিযোগ, ওই সময় পরেশ বাবু ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরেই এমন ঘটনা ঘটেছিল। তৎকালীন সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলো এই ঘটনা নিয়ে সরবও হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও মন্ত্রী কন্যা নিয়োগপত্র নিয়ে মেখলিগঞ্জের একটি স্কুলে চাকরি করে যাচ্ছেন।

YouTube player

মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে আজ রাতেই সিবিআই অফিসে এসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপস্থিত থাকতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিন আদালতে এসএসসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর প্রাপ্ত নম্বর ৬১। অন্যদিকে মামলাকারী ববিতা বর্মনের প্রাপ্ত নম্বর পারসোনালিটি টেস্ট সহ ৭৭।
মামালাকারীর অভিযোগ, তাঁর থেকে কম নম্বর পেয়েও মন্ত্রী কন্যা চাকরি পেয়েছেন, উনি এখন মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত। আর তিনি বেশী নম্বর পেয়েও বঞ্চিত হয়ে আছেন। মামলার শুনানির সময় জানা গেল মন্ত্রী কন্যা পারসোনালিটি টেস্ট ইন্টারভিউয়েও উপস্থিতই ছিলেন না। এই অবস্থায় চাকরি হয় কি করে? এদিকে এদিন আদালতে ওই শুনানির পরেই রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলো শাসক দল তৃণমূলের সমালোচনা করতেও শুরু করেছেন। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, এতে সরকার পক্ষকে কিছুটা হলেও চাপের মুখে পড়তে হবে।

YouTube player