এনএফবি, কোচবিহারঃ
ভালোবাসার টানে বাংলাদেশের বগুড়া জেলা থেকে ভারতে এসে বিএসএফের হাতে আটক প্রেমিকা। শনিবার ‘চোরা-পথে’ সীমান্ত পেরনোর সময় ধরা পড়ে যান ওই তরুণী। রবিবার বিএসএফ ওই তরুণীকে কোচবিহারের সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এদিন তাকে তোলা হয়েছে দিনহাটা মহকুমা আদালতে।
জানা গেছে, বাংলাদেশের বগুড়ার বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জের এক যুবকের। দু’জনের আলাপ মাত্র ৬ মাসের। বিষয়টি জেনে যায় তরুণীর পরিবার। মেয়ের সঙ্গে তুফানগঞ্জের যুবকের বিয়ে দিতে অস্বীকার করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আর এরপরই তরুণী ও তাঁর প্রেমিক পালিয়ে বিয়ের পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা মাফিক শনিবার তরুণী বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন। বাংলাদেশের বগুড়া থেকে তিনি ভারতের সাহেবগঞ্জে দিঘলটারি সীমান্তে এসে পৌঁছোন। বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে রাতেই ওই তরুণী ভারতে ঢুকে পড়েন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। টহলরত বিএসএফের ১২৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের হাতে ধরা পড়ে যান ওই তরুণী। রবিবার সকালে বিএসএফের তরফে ওই তরুণীকে দিনহাটার সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিন ওই তরুণী জানান, বাংলাদেশ তার বাবা মা তাকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল, সেই কারণেই তিনি পালিয়ে আসতে বাধ্য হন। শুধুমাত্র ভালোবাসার জন্যেই বাড়ি থেকে চলে এসেছেন তিনি। প্রেমিকের পরামর্শ মতোই সংসার গড়ার ইচ্ছায় ভারতে আসেন তিনি। তবে এদেশে ঢুকে ধরা পড়ে যান বিএসএফের হাতে।
এদিকে, ইতিমধ্যেই পুলিশ মেয়েটির থেকে তুফানগঞ্জের ওই যুবকের ঠিকানা নিয়েছে। ওই যুবকের খোঁজ-খবর শুরু করেছে পুলিশ। এদিন দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে বাংলাদেশের ওই তরুণীর করোনা পরীক্ষা করোনো হয়েছে। পরে তাকে দিনহাটা মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় বলে জানা গেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।