জুলাই 5, 2024
Latest:
রাজ্য

হিলি-তুরা করিডর বাস্তবায়নে দিল্লিতে দরবার

এনএফবি, বালুরঘাটঃ

হিলি-তুরা করিডর দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দিল্লির দরবারে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ‘জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর করিডর’এর প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন।

উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নের লক্ষ্যে আগামী অধিবেশনে করিডোর এর স্বপক্ষে জোর সওয়াল করবেন লোকসভার প্রটেমস্পিকার তথা সাংসদ এনকে প্রেমাচন্দ্রন ও মেঘালয়ের সাংসদ আগাথা সাংমা। দিল্লী অভিযানে ছিলেন ‘জয়েন মুভমেন্ট কমিটি ফর করিডর’এর আহবায়ক নবকুমার দাস, প্রাক্তনসাংসদ রনেন বর্মন, সমাজসেবী অমূল্য রতন বিশ্বাস সহ চার সদস্যের প্রতিনিধিদল।

প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের মন্ত্রী এবং সচিবদের দৃষ্টি আকর্ষণ, সেই সঙ্গে সংসদের আগামী অধিবেশনে বিষয়টি উত্থাপনের ব্যাপারে করিডর কমিটির এবারের দিল্লী অভিযান অনেকটাই সফল। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে হিলি-তুরা করিডর দ্রুত বাস্তবায়ন ও সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে বালুরঘাট-হিলি রেলপথের কাজ শীঘ্রই শুরুর চেষ্টায় ‘জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর করিডর’-র দাবি তথা আওয়াজ পার্লামেন্টে উত্থাপন করবেন বলে জানান লোকসভার প্রটেম-স্পিকার এনকে প্রেমাচন্দ্রন, মেঘালয়ের সাংসদ আগাথা সাংমা(প্রয়াত পিএ সাংমার কন্যা), লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী, বালুরঘাটের সাংসদ ডঃ সুকান্ত মজুমদার। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে করিডর কমিটির আহ্বায়ক নবকুমার দাসের নেতৃত্বে সরাসরি রেল ভবনে হাজির হয়ে রেলমন্ত্রকে বালুরঘাট-হিলি রেল সম্প্রসারণের দাবিতে লিখিতপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এবারের দিল্লী সফরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতীন গডকরি প্রধানমন্ত্রী দপ্তর বিষয়ক মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং-র সঙ্গে সাক্ষাতের সময় নির্ধারণ করা থাকলেও দু’জনে যথাক্রমে বাজেট অধিবেশন ও বিধানসভা নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তবে সাক্ষাত না হলেও তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সচিবদের নিকট করিডরের দাবিপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি-চেকপোস্ট এবং রপ্তানী-বাণিজ্যর পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি দ্রুত পাসপোর্ট-ইমিগ্রেশন পরিসেবা ও বর্ডার-হাট চালুর ব্যাপারেও ‘জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর করিডর’এর তরফে বিদেশমন্ত্রক সেইসঙ্গে স্বরাষ্ট্র-প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক ও প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্রর কাছে দাবিপত্র দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে হিলি- তুরা করিডোর চালু হলে মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গের দূরত্ব কমে হবে মাত্র ৮৬ কিলোমিটার। হিলি থেকে মেঘালয়ের তুরায় পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ২ ঘন্টা। করিডোরের মাধ্যমে উত্তর পূর্ব ভারতের খনিজপদার্থের পাশাপাশি বাংলার কৃষি মৎস ও হস্তশিল্পের ব্যবসায়িক আদানপ্রদান সুগম হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সাথেও সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে।