এনএফবি, জলপাইগুড়িঃ
করোনার প্রকোপ কমতে না কমতেই চোখ রাঙ্গাচ্ছে মশা বাহিত রোগ ডেঙ্গি। জলপাইগুড়ি জেলায় সংক্রমণের গ্রাফ উর্ধমুখি। গতকাল পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলায় ৭০ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণ ধরা পড়েছে ডুয়ার্সের কালিম্পং জেলা লাগোয়া বাগরাকোট চাবাগান সহ আশেপাশের এলাকায়।
মঙ্গলবার পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী বাগরাকোট চাবাগান এলাকায় ৪৬ জনের শরীরে ডেঙ্গির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। ওদলাবাড়ির মাল ব্লক হাসপাতাল, মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এদের চিকিৎসা চলছে। কেউ কেউ বাড়িতে রয়েছে।স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছে। নিয়মিত ফগিং করা, স্প্রে করাও হয়।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার বাগরাকোটে আসেন জেলার মেডিক্যাল টিম। টিমে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অসিত বিশ্বাস ও বিশেষজ্ঞরা। তারা বাগরাকোট এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবকিছু খতিয়ে দেখেন। পরিস্থিতি দেখে স্বাস্থ্য অধিকর্তা শ্রী বিশ্বাস বলেন, ” পরিস্থিতি এখনও অ্যালার্মিং নয়।আমি অন্য একটা কাজে এসেছিলাম। যখন শুনলাম এখানে ডেঙ্গি হচ্ছে তখন পরিস্থিতি দেখতে আসি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে যা দেখলাম, বাড়িতে ছোট ছোট পাত্রে জল জমা থাকছে। বাইরে টবে জল জমা থাকছে। এইসব জলে মশার লার্ভা ছড়াতে পারে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা ভালো কাজ করছে। তাদের বলা হয়েছে প্রতিদিন টেস্ট করতে। সেরকম না হলে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করা যাবে। সেরকম মনে হলে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। এজাতীয় প্রকোপ মাঝেমধ্যে আসে আবার কমেও যায়। আশা করছি সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারা যাবে।
পানীয়জল এবং দৈনন্দিন কাজের জন্য ভরসা বলতে পাহাড়ি ঝর্নার পাইপ বাহিত জল কিংবা পাম্পের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ জল। এজন্য স্থানীয় বাসিন্দারা ট্যাংকে, ড্রামে, বালতিতে জল জমা করে রাখে দৈনন্দিন কাজের জন্য। প্রকোপ বাড়তেই স্বাস্থ্য কর্মীরা জমা জল ফেলে দেয়। স্থানীয় তৃনমুল কংগ্রেস নেতা রাজেশ ছেত্রী জানান, “এপর্যন্ত ৪৬ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। প্রতিটি বাড়ির ড্রামে জমা জল ফেলে দেওয়া হয়েছে। সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।”